ভারতে খেলতে যাচ্ছে মেসির আর্জেন্টিনা

ছবি: এএফপি

১৪ বছর পর ভারতে ফিরতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ভারতের কেরালা রাজ্যে। তবে খেলাটির দিনক্ষণ, ভেন্যু ও আলবিসেলেস্তেদের প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, বুধবার কেরালা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ভি আব্দুরহিমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'মেসিসহ আর্জেন্টিনা, যারা বিশ্বের এক নম্বর ফুটবল দল, তারা আগামী বছর (২০২৫ সালে) কেরালায় আসছে।'

ম্যাচটির সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধানে থাকবে কেরালার রাজ্য সরকার। আব্দুরহিমান আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, ঐতিহাসিক উপলক্ষটি আয়োজন করার পূর্ণ সক্ষমতা তাদের আছে, 'এই হাই-প্রোফাইল ফুটবল ইভেন্টটি আয়োজনের জন্য সমস্ত আর্থিক সহায়তা রাজ্যের ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে আসবে।'

ক্রীড়ামন্ত্রী আব্দুরহিমান আরও জানিয়েছেন, প্রীতি ম্যাচটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে আর্জেন্টিনা টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। দলটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগামী দেড় মাসের মধ্যে কেরালায় আসবেন সবকিছু পর্যবেক্ষণের জন্য।

এর আগে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা। কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে তারা জিতেছিল ১-০ গোলে। রেকর্ড আটবারের ব্যালন দি'অরজয়ী মেসির কর্নার থেকে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন নিকোলাস ওতামেন্দি।

এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুরহিমান বলেছেন, আর্জেন্টিনার ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়েছে। এতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কারা হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর ম্যাচটির দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

সারা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও মেসি ও আর্জেন্টিনা দলের প্রচুর ভক্ত-সমর্থক রয়েছে। প্রীতি ম্যাচটির ভেন্যু হতে পারে কেরালার কোচিতে অবস্থিত জওহরলাল নেহেরু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এর দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০ হাজার।

আব্দুরহিমানের সংবাদ সম্মেলনের দিনে ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক মেসির ক্রসে দুর্দান্ত ভলিতে লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দেন লাউতারো মার্তিনেজ।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

10h ago