৫৯২ দিন পর শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কায় আর্জেন্টিনা
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারের পর থেকেই শঙ্কার শুরু। ইতালির বিপক্ষে ফ্রান্সের জয় আরও দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় আর্জেন্টিনাকে। বর্তমানে আলবিসেলেস্তেদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ব্লুজরা। পেরুর বিপক্ষে হোঁচট মানেই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান হারাতে হবে লিওনেল মেসির দলকে। শীর্ষে উঠে যাবে কাতার বিশ্বকাপের রানার্সআপ ফ্রান্স।
অনেক দিন থেকেই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা জয়ের পর দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে জয় মিলেছে কেবল একটি, ঘরের মাঠে বলিভিয়ার বিপক্ষে। পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে তিনটি ম্যাচে। যার একটি ঘরের মাঠেও। যে কারণে শীর্ষস্থান হারানোর হুমকিতে পড়েছে তারা।
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের ধারাবাহিকতায় পানামা এবং কুরাসাওর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জয়লাভ করার পর ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসে আর্জেন্টিনা। সে সময় ব্রাজিলকে পেছনে ঠেলে প্রথম স্থানে আসে তারা। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সবার উপরে থেকে অভ্যস্ত দলটি প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারের পর থেকেই শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কায় পড়েছে।
বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আর্জেন্টিনা থাকলেও পরের স্থানের দলগুলোর সঙ্গে পার্থক্য খুব বেশি নয়। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারের পর আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ১৮৬২.৩৬। অন্যদিকে ইতালিকে হারিয়ে ১৮৫৯.৮৫ পয়েন্ট হয়েছে ফ্রান্সের। আর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর স্পেনের পয়েন্ট ১৮৫৩.২৮। তাই পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটি মহা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মেসিদের জন্য।
এই তালিকায় ফ্রান্সের চেয়ে মাত্র তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল পেরুর বিপক্ষে হারলে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট হবে ১৮৪২.২৫। আর ড্র করলে হবে ১৮৫৪.৭৫। অর্থাৎ পেরুকে হারাতে না পারলে শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত আর্জেন্টিনার। হারলে তো এক ধাক্কায় তিনে নেমে যাবে দলটি।
অর্থাৎ ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে পেরুকে হারাতে না পারলে ৫৯২ দিন পর শীর্ষস্থান থেকে নেমে যেতে হবে আর্জেন্টিনাকে। এখন দেখার বিষয় বছরের শেষ ম্যাচটি জয় দিয়ে শেষ করতে পারেন কি-না মেসিরা। সেক্ষেত্রে বছরটাও শীর্ষে থেকে শেষ করতে পারবে তারা।
Comments