কেন ব্রাজিলিয়ান রেফারিকে শাসালেন মেসি?
বিরতির ঠিক পরপরই যেই ওমর আলদেরেতের গোলে জয় পায় প্যারাগুয়ের, সেই আলদেরেতের তখন মাঠে থাকারই কথা ছিল না। কারণ প্রথমার্ধেই দুটি হলুদ কার্ডে বহিষ্কার হতে পারতেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি দেখেও এড়িয়ে গিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান রেফারি আন্দারসন দারঙ্কো। যে কারণে তার পর বেজায় খেপেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ম্যাচের বয়স তখন ৩৭ মিনিট। পাল্টা আক্রমণে বল নিয়ে ঢুকে যাওয়ার সময় মেসিকে ফেলে দেন আলদেরেতা। একে বাজে ট্যাকল, তার উপর তাকে কাটিয়ে যেতে পারলে গোলের সুযোগ তৈরি হতো নিশ্চিত। আলদেরেতাকে কার্ড দেখাবেন এমনটা নিশ্চিতই ছিলেন মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। কিন্তু স্রেফ ফাউল ধরেই বিষয়টিকে মিটিয়েছেন দারস্কো।
সেই ঘটনার মিনিট চার আগেও আলদেরেতা একটি বাজে ফাউল করেছিলেন মেসিকে। কার্ড দেখানো যেতে পারতো সেই ফাউলেও। সবমিলিয়ে তখন তীব্র প্রতিবাদ করেন মেসি। রেফারিকে আঙুল তুলে শাসাতেও দেখা যায়। অন্যদিকে ডাগআউটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্কালোনি। চতুর্থ রেফারির সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায় তাকেও।
শুধু তাই নয়, বিরতির সময় মাঠে ছাড়ার সময়ও রেফারির সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন মেসি। মাঠ ছাড়ার সময় বিষয়টি বোঝাতে এগিয়ে এসেছিলেন রেফারিই। কিন্তু রেফারির যুক্তি মেনে নেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তখনও রেফারির দিকে আঙুল তুলে একবার কথা বলতে দেখা যায় এই ইন্টার মায়ামি তারকাকে।
ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কোচ স্কালোনি। রেফারিংয়ের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, 'অনেক কিছুই বলতে পারি…কিন্তু সেসব অর্থহীন ও অজুহাত মনে হবে। তাই এসব না বলাই ভালো, তাতে অজুহাত মনে হবে না এবং লোকেও এভাবে ভাববে না। মাঠে কী ঘটেছে আমরা সবাই দেখেছি। ফলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।'
উল্লেখ্য, সেই ঘটনার আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন আলদেরেতো। যে কারণে পরের ফাউলে কার্ড দেখালে বহিষ্কার হতেন এই হেতাফে সেন্টার ব্যাক। কিন্তু ছাড় পেয়ে যান রেফারির কাছ থেকে। পরে এই আলদেরেতার গোলেও হার নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। ক্ষোভটা যেন তাই একটু বেশিই।
তবে দারঙ্কোকে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক এবারই নতুন কিছু নয়। এর আগেও কয়েক দফা নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ফিফার তালিকাভুক্ত এবার কোপা লিবার্তদোরেসে শেষ ষোলোয় রেসিং ও রিভার প্লেটের ম্যাচে তার রেফারিং নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। হয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের উরুগুয়ে-ইকুয়েডর ম্যাচেও।
Comments