ইংল্যান্ডের কোচ হয়ে 'খুব গর্বিত' টুখেল

গ্যারেথ সাউথগেট চাকুরী ছাড়ার পর থেকেই পূর্ণ মেয়াদে একজন ভালো কোচের খোঁজে ছিল ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। কিছুটা সময় লাগলেও অবশেষে কেইন-সাকা-গ্রিলিশদের নতুন বস হিসেবে টমাস টুখেলকে নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় নন-বৃটিশ কোচ এই জার্মান।

এফএ আনুষ্ঠানিকভাবে টুখেলকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি জানালেও কাজ শুরু করবেন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। তার আগে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন লি কারসলে। নেশন্স লিগে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। আগামী মাসে গ্রীস এবং আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে দায়িত্বে থাকবেন তিনি।

সদ্য প্রয়াত সুইডিশ কোচ সেভেন-গোরান এরিকসন এবং ইতালিয়ান ফ্যাবিও ক্যাপেলোর পরে পুরুষদের দলের তৃতীয় নন-ব্রিটিশ কোচ টুখেল। প্রাথমিকভাবে ১৮ মাসের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। অর্থাৎ কানাডা, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকছেন তিনি।

ইংলিশদের কোচ হওয়ার পর চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো এই কোচ বলেন, 'ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সম্মান পেয়ে আমি খুব গর্বিত। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই দেশে খেলার সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত সংযোগ অনুভব করেছি এবং এটি আমাকে ইতিমধ্যে কিছু অবিশ্বাস্য মুহূর্ত দিয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা বিশাল সুযোগ, এবং প্রতিভাবান দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ খুবই রোমাঞ্চকর।'

২০০৭ সাল থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা টুখেল এই প্রথম কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, পিএসজি, চেলসি ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বরুশিয়ার হয়ে দুটি এবং পিএসজির হয়ে ৬টি ট্রফি জিতেন তিনি। তার অধীনেই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠে পিএসজি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বাদ পেয়েছেন চেলসির হয়ে। দলটির হয়ে জিতেছেন উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপও। তবে বায়ার্নের সময়টা ভালো কাটেনি তার।

১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর থেকে বড় কোনো ট্রফি জেতেনি ইংল্যান্ড। টুখেলের প্রথম মিশন হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব উতরানো। তাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে অবশ্য বেশ কিছু কোচের সঙ্গেই আলোচনা করেছে এফএ। সেখানে ছিল ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলার নামও। এছাড়া নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বস এডি হাও এবং চেলসির সাবেক কোচ গ্রাহাম পটারের নামও ছিল তালিকায়।

Comments

The Daily Star  | English

100 days of govt: Businesses seek high security, low interest

Weak law and order, high interest rates on bank loans, and slow bureaucracy remain big concerns for entrepreneurs despite many steps taken by the government in its first 100 days, business leaders said yesterday.

9h ago