নেইমারের শতভাগ সেরে উঠে ফেরা নিয়ে ধৈর্য ধরতে চান দরিভাল

ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র বলছেন, নেইমারের পুরোপুরি সেরে উঠা পর্যন্ত ধৈর্য হারালে চলবে না।
Neymar

চোটের কারণে প্রায় এক বছর ধরে মাঠের বাইরে আছেন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা তারকা নেইমার জুনিয়র। তার অনুপস্থিতিতে বেশ ভুগছে ব্রাজিল। আগামী মাসে বাছাইপর্বের স্কোয়াডেও নেই তিনি।  কবে নেইমারকে পাওয়া যাবে এই নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আছে উদ্বিগ্ন অপেক্ষা। তবে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র বলছেন, নেইমারের পুরোপুরি সেরে উঠা পর্যন্ত ধৈর্য হারালে চলবে না।

গত বছর অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন মেনিসকাস ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা। তারপর অস্ত্রোপচার টেবিলে যেতে হয় তাকে।

গত জুলাই মাসে তার সৌদি ক্লাব আল-হিলালের অনুশীলনে ফিরেছেন নেইমার। তবে আল-হিলাল কোচ হোর্হে জেসুস জানিয়েছেন, ৩২ পেরুনো তারকা এখনো খেলার জন্য প্রস্তুত না।

স্বাভাবিকভাবেই চিলি ও পেরুর বিপক্ষে আগামী মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচে রাখা হয়নি নেইমারকে।

এই ব্যাপারে শুক্রবার দরিভাল বলেন, 'আমরা জানি সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। সে অক্টোবরে, নভেম্বরে নাকি একদম ফেব্রুয়ারিতে ফিরবে এটা ব্যাপার না। তাকে পুরোপুরি সেরে উঠে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী হতে দিতে হবে।'

চিলি ও পেরুর বিপক্ষে দুই ম্যাচে বার্সেলোনা উইঙ্গার রাফিনহা ও আর্সেনাল ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লিকে ডেকেছেন দরিভাল। আছেন রিয়াল মাদ্রিদের ত্রয়ী ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এন্দ্রিক।

বাছাই পর্বে ব্রাজিলের অবস্থা সুবিধার না। ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ছয়ে থাকা প্যারাগুয়ে থেকে এক পয়েন্ট উপরে তারা। ছয়ে থাকা দলকে খেলতে হবে প্লে-অফ। কাজেই ব্রাজিলের অবস্থান কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।

১০ অক্টোবর সান্তিয়াগোতে চিলির বিপক্ষে খেলতে যাবে ব্রাজিল। পাঁচদিন পর ঘরের মাঠ ব্রাসিলিয়ায় পেরুর বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে দরিভাল জুনিয়রের দল।

ব্রাজিলের স্কোয়াড:

গোলরক্ষক : অ্যালিসন বেকার, বেন্তো, এডারসন।

ডিফেন্ডার: দানিলো, ভেন্ডারসন, গুইহেরমে আরেনা, ব্রেমার, এডার মিলিতা, গ্যাব্র্যেল মাগালাহেস, মার্কিনিউস।

মিডফিল্ডার: আন্দ্রে, ব্রুনো গিমারেস, গারসন, লুকাস পাকেতা।

ফরোয়ার্ড: এন্দ্রিক, লুইস হেনরিক, রদ্রিগোল, সাভিনহো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ইগোর জেসসু, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, রাফিনহা।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago