জিরোনাকে উড়িয়ে দিয়েই বার্সেলোনার প্রতিশোধ
ছন্নছাড়া বার্সেলোনাকে গত মৌসুমে দুই লেগেই ৪-২ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছিল জিরোনা। সেই স্মৃতি সামনে রেখে এবার জিরোনার মাঠে প্রথম কাতালান ডার্বিতে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। আর বার্সার প্রতিশোধের আগুনে রীতিমতো পুড়ে ছারখার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা। একই সঙ্গে দারুণ পারফরম্যান্সে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
রোববার এস্তাদি মুনিসিপাল দে মন্তিলিভিতে লা লিগার ম্যাচে জিরোনাকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামাল। একটি করে গোল করেছেন দানি ওলমো ও পেদ্রি। জিরোনার হয়ে গোলটি করেন ক্রিস্তিয়ান স্তুয়ানি।
ম্যাচে এদিন আধিপত্য বিস্তার করেই খেলে বার্সেলোনা। ৫৫ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শটও নিয়েছে ২০টি। যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মোট ৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকরা।
তবে শুরু থেকে চেপে ধরে খেললেও গোল আদায় করতে আধ ঘণ্টা লেগে যায় বার্সেলোনার। ৩০তম মিনিটে দাভিদ লোপেসের ভুলে এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সে দ্রুত ছুটে আসা ইয়ামালের কাছে বল হারান এই ডিফেন্ডার। বল বিপদমুক্ত না করে এই তরুণকে কাটাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। বল কেড়ে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি ইয়ামালের।
সাত মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ১৭ বছর বয়সী তরুণ। রাফিনহার ফ্রি কিক থেকে লেভানদোভস্কির পায়ে লেগে বল পেয়ে যান ইয়ামাল। জোরালো শটে বল জালে পাঠান তিনি। চলতি আসরে এটা ইয়ামালের তৃতীয় গোল। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বার্সার বিরুদ্ধে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। তবে ভিএআরে বাতিল হয় সেই সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। দুই মিনিট পরই জুলস কুন্দের থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শটে লক্ষ্যভেদ করেন ওলমো। ৬৪তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান পেদ্রি। মার্ক কাসাদোর রক্ষণ চেরা পাস ডি-বক্সে পেয়ে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ৮০তম মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোলটি পায় জিরোনা। ক্রিস্তিয়ান পোর্তুর ক্রস থেকে লক্ষ্যভেদ করে স্তুয়ানি। ছয় মিনিট পর লাল কার্ড দেখে ফেররান তোরেস মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা। তবে তাতে কোনো সমস্যা হয়নি তাদের। বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে সমান ১১ পয়েন্ট ভিয়ারিয়ালেরও। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে দলটি।
Comments