ক্যাম্প ন্যুতে কবে দেখা যাবে বার্সেলোনার খেলা?

২০২৩-২৪ মৌসুমের পুরোটাই অলিম্পিক স্টেডিয়ামে খেলেছে বার্সেলোনা। তাতে যে সুফল সামান্যও আসেনি তা দেখা যায় গত মৌসুমের ট্রফি কেসের দিকে তাকালে। দীর্ঘ সময় পর একটি ট্রফিহীন মৌসুম কাটায় দলটি। এবারও এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি না দেখতে ক্যাম্প ন্যুতে খেলা ফিরে আসার অপেক্ষা যেন ফুরচ্ছে না সমর্থকদের। কিন্তু কবে আবার বার্সেলোনার খেলা দেখা যাবে এই স্টেডিয়ামে?

গত মঙ্গলবারই মিডিয়ার উপস্থিতিতে স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যু সম্পর্কে কথা বলেন বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা। ফেরার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ না করলেও ২০২৪ সালের মধ্যেই ফিরবে বলে আশ্বস্ত করেছেন, 'আমরা তারিখ নির্ধারণ করতে চাই না কারণ এটি পরে কিংবা তার আগেও হতে পারে। এটা বাস্তবে পরিণত হয়েছে, আপনাকে কেবল স্টেডিয়ামটি দেখতে হবে। অনেক বাধা সত্ত্বেও, আমার বিশ্বাস বছরের শেষ নাগাদ আমরা ফিরতে সক্ষম হব।'

লাপোর্তার কথা যাচাই করে দেখেছেন স্পেনের সংবাদ মাধ্যম স্পোর্ত। এবং সত্যতা খুঁজেও পেয়েছে তার। তুর্কি কোম্পানি লিমাকের অধীনে সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে বলে জানিয়েছে তারা। বর্তমানে প্রায় ১৮০০ জন শ্রমিক এই প্রকল্পে কাজ করছেন, সেই সঙ্গে রয়েছেন ৩০ জন অফিস টেকনিশিয়ান। ডিসেম্বরে লা লিগার ম্যাচে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরতে পারে ক্যাম্প ন্যু।

গত বছরের মে'তে মৌসুম শেষ করার পরই শুরু হয় ক্যাম্প ন্যুর সংস্কার কাজ। ৬৬ বছরের পুরনো স্টেডিয়ামটিতে আসছে অনেক নতুনত্ব। ১৯৫৭ সালে যাত্রা শুরু করা এই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ছিল ৯৯ হাজার ৩৫৪। কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে হবে ১ লাখ ৫ হাজার আসন। তবে চলতি বছর কাজ শেষ হবে ৬৪ হাজার আসনের। যেখানে থাকে ২৪০০ ভিআইপি আসন। ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্তমানে, স্টেডিয়ামের পুরো ভিত্তি অংশ সহ তৃতীয় স্তরের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ভবনের ভেতরে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরে মেরামত, বিভাগ ও স্থাপনার মতো কাজ চলছে। স্ট্যান্ডগুলোও ওয়াটারপ্রুফ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সিট বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। স্টেডিয়ামের আশেপাশের রাস্তা-ঘাটে বাহ্যিক নগরায়নের কাজ ইতিমধ্যেই শেষের পথে।

উল্লেখ্য, ২০টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছে বার্সেলোনা। এই অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ থেকে ২৪ বছর ধরে শোধ করবে তারা। ন্যু ক্যাম্প সংস্কার শেষ হলেই ঋণ শোধ শুরু হবে ক্লাবটি।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

6h ago