২০ বছর পর জয় পেল র্যাঙ্কিংয়ের তলানির দল
সেই ২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল। প্রতিপক্ষ ছিল এই লিখটেনস্টাইনই। ২০ বছর পর আবারও তাদের হারিয়ে লম্বা খরা কাটালো সান মারিনো। একটি জয়ের জন্য দলটি যে কতোটা মরিয়া ছিল তা দেখা গেল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাদের বাঁধভাঙা উদযাপনেই।
ঘরের মাঠে স্তাদিও অলিম্পিকো দি সেরাভাল্লেতে নেশন্স লিগের ম্যাচে লিখটেনস্টাইনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সান মারিনো। এটা তাদের প্রথম কোনো প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচে জয়। ৫৩তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন নিকো সেনসলি। ২০ বছর আগেও লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে পাওয়া জয়টিও ছিল একই ব্যবধানে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২১০ নম্বরে অবস্থিত সান মারিনো। একেবারে সবার তলানিতে। ইরিত্রিয়া ২০২০ সাল থেকে কোনো ম্যাচ না খেলায় অনানুষ্ঠানিকভাবে ফিফা তাদের র্যাঙ্কিংয়ে রাখেনি। অন্যদিকে লিখটেনস্টাইনের অবস্থান কিছুটা উপরে। ১৯৯ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলটি ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করেই খেলছিল। তবে গোল আদায় করে নিতে পারেনি।
গত ২০ বছরে সান মারিনো ম্যাচ খেলেছে ১৪০টি। সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ড্র। ছয় হাজার ৬০০ ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৯১৪ জন। সেখানেও বড় একটি অংশ লিখটেনস্টাইনের। তাদের বিপক্ষে ড্র কিংবা হার যেন ভেবে নিয়েছিলেনই স্থানীয় সমর্থকরা। তবুও বিশ্বাস রেখে যারা মাঠে গিয়েছেন তারাই হয়েছেন ইতিহাসের সাক্ষী।
নির্ধারিত সময় শেষে আট মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ করেন রেফারি। এ সময়ে দেরি করায় যোগ হয়েছে আরও কিছু সময়। তাদের অপেক্ষা যেন ফুরাচ্ছিল না। অবশেষে শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। অন্যদিকে তখন হতাশায় ভেঙে পড়েন লিখটেনস্টাইনের খেলোয়াড়রা।
অথচ মাঝের সময়টা কতোই না বাজে কেটেছে সান মারিনোর। একের পর এক হার। অধিকাংশই বড় ব্যবধানে। ২০০৬ সালে তো জার্মানির কাছে ১৩-০ গোলে হারের বিব্রত স্বাদ পেতে হয়েছে তাদের।
সান মারিনো, উত্তর-পূর্ব ইতালি দ্বারা বেষ্টিত মাত্র ৩০ হাজার মানুষের একটি দেশ, যা মাত্র ৬১ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে। তবে পুরো বিশ্বেই তারা ব্যাপক পরিচিত তাদের জয়হীন ধারার কারণে। যা রীতিমতো তাদের ফুটবলের দুর্দশার শব্দ হয়ে উঠেছিল।
এই জয়ে সান মারিনো বর্তমানে তাদের তিন দলের নেশন্স লিগ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে। অপর দল জিব্রাল্টার এখনও কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি।
Comments