সেই ভুটানকে হারাতে ঘাম ঝরে গেল বাংলাদেশের মেয়েদের

এইতো গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেই ভুটানকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এই সিরিজের আগে চার ম্যাচে ভুটানের জালে দিয়েছিল ২০টি গোল। পক্ষান্তরে হজম করেনি একটি গোলও। সেখানে সিরিজের দুই ম্যাচে হজম করে তিনটি গোল। এদিন শুরুতেই দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পরে। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় পেলেও স্বস্তি যোগাতে পারেনি মেয়েরা।

শনিবার ভুটানের থিম্পুতে আগামী অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ লক্ষ্য রেখে প্রীতি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে দুটি গোল করেন সাবিনা খাতুন, সাগরিকা ও সুমাইয়া মাতসুশিমা। অপর গোলটি আসে আত্মঘাতীর সুবাদে। ভুটানের হয়ে জোড়া গোল করেন ডেকি লাজুম। 

এদিন ম্যাচের ২০ মিনিট যেতেই দুই গোলের লিড নেয় ভুটান। তবে সুযোগ তারা পেয়েছিল আরও অনেক। ফরোয়ার্ডরা আর একটু বিচক্ষণ হতে পারলে ফলাফল হতে পারতো ভিন্ন। অবশ্য ভালো কিছু সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনেও। এক সাগরিকাই নষ্ট করেছেন নিশ্চিত দুটি সুযোগ।

ম্যাচের ১৪তম মিনিটে প্রথম গোল পায় ভুটান। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো থ্রু পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান পেমা শেরিং। তবে ডি-বক্সে ঢুকে নিজে শট না নিয়ে আরও নিশ্চিত হতে ডেকি লাজুমের উদ্দেশ্যে কে ক্রস করেন তিনি। দারুণ ক্ষিপ্র গতিতে ডি-বক্সে এই ফরোয়ার্ডের শরীরে বল জালে গেলে উল্লাসে মাতে স্বাগতিকরা।

আট মিনিট যেতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। আরও একটি থ্রু পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে লাজুমকে দারুণ কাটব্যাক করেন সোনাম লামো। ফাঁকায় দাঁড়ানো লাজুম আলতো টোকায় বল জালে পাঠাতে কোনো বাঁধায় পড়তে হয় হয়নি।

৩৫তম মিনিটে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। প্রায় মাঝমাঠ থেকে মাসুরার দারুণ ক্রস থেকে বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সাবিনা। পাঁচ মিনিট পর সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। সাবিনার কাছ থেকে বল পেয়ে সাগরিকাকে পাস দেন সুমাইয়া। বাঁ প্রান্তে বল ধরে দারুণ এক বুদ্ধিদীপ্ত চিপে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান এই স্ট্রাইকার।

৪৯তম মিনিটে গোলরক্ষক একা পেয়েও বাইরে মারেন সাগরিকা। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে চারটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল ভুটান। কিন্তু ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল মিলেনি। ৫৭তম মিনিটে একেবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি সাগরিকা।

৬২তম মিনিটে প্রথমবারের মতো লিড নেয় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্তে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করতে চেয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা। তবে ডিফেন্ডার কেলজাং ওয়াংমুর পায়ে লেগে দিক বদলে বল জালে প্রবেশ করে। ৬৬ বল জালে পাঠিয়েছিল ভুটান। তবে অফসাইডের কারণে গোল মিলেনি।

৭০তম মিনিটে সাবিনার নেওয়া ফ্রিকিক লাফিয়ে ফিস্ট করে কোনোমতে ঠেকান ভুটান গোলরক্ষক। ৮৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় সফরকারীরা। কর্নার থেকে ডি-বক্সে সৃষ্ট জটলায় আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে যান সুমাইয়া। বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি তার।  

Comments