ডি ব্রুইনা-পালমার-সালাহকে ছাপিয়ে ইপিএলের সেরা প্লেমেকার ওয়াটকিন্স
অসাধারণ একটি মৌসুম শেষ করলেন অ্যাস্টন ভিলার ইংলিশ ফরোয়ার্ড অলি ওয়াটকিন্স। ৪১ বছর পর দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরিয়ে আনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিজেও পেলেন অনন্য এক স্বীকৃতি। ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা, চেলসির কোল পালমারকে পেছনে ফেলে প্রিমিয়ার লিগের সেরা প্লেমেকারের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
রোববার প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি ওয়াটকিন্স। তার দলও হয়েছে বিধ্বস্ত। ০-৫ গোলের ব্যবধানে হারে তারা। তবে এর আগেই প্রিমিয়ার লিগে ১৩টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। শেষ দিনে তাকে টপকাতে পারেননি কেউই। তাতেই প্রিমিয়ার লিগের প্লেমেকার অফ দ্য সিজন পুরস্কার হাতে ওঠে তার।
সেরা প্লেমেকারের পুরস্কার জিতে নেওয়ার পথে ওয়াটকিন্স পেছনে ফেলেছেন পালমারকে। তার অ্যাসিস্ট সংখ্যা ১১টি। এছাড়া ম্যান সিটির ডি ব্রুইনা, নটিংহ্যাম ফরেস্টের মরগান গিবস হোয়াইট, নিউক্যাসলের অ্যান্থনি গর্ডন ও কিয়েরন ট্রিপিয়ার, ব্রাইটনের প্যাসকল গ্রস, টটেনহ্যামের হিউং-মিন সন, লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ এবং আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ড ১০টি করে অ্যাসিস্ট করেছেন।
Leading the way with 13 assists.
The 2023/24 @PremierLeague Playmaker of the Season: Ollie Watkins! pic.twitter.com/pUAPMSSlkk— Aston Villa (@AVFCOfficial) May 19, 2024
ওয়াটকিন্সের সহায়তায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন লিওন বেইলি। এই উইঙ্গারের করা ১০ গোলের মধ্যে ৪টি গোলে অবদান ছিল ওয়াটকিন্সের। এছাড়া চলতি মৌসুমেই ভিলায় যোগ দেওয়া মুসা দিয়াবিকে করেছেন তিন গোলে সহায়তা।
আর শুধু সহায়তা করেই নয়, এবার গোলমুখেও দুর্দান্ত ছিলেন ওয়াটকিন্স। লিগে গোল করেছেন ১৯টি। যা প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সবমিলিয়ে গোলে তার অবদান ৩২টি।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, অ্যাস্টন ভিলা ক্লাবের সিজন অ্যাওয়ার্ডস ডিনারে দুটি পুরস্কার জিতে নেন ওয়াটকিন্স। প্লেয়ার্স প্লেয়ার অফ দ্য সিজন এবং সমর্থকদের প্লেয়ার অফ দ্য সিজনে সম্মানিত হয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
Comments