এমবাপেদের হারিয়ে এগিয়ে রইল ডর্টমুন্ড
ইদুনা পার্কে এবার জিতবেন এমন পণ করেই মাঠে নেমেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে, ওসমান দেম্বেলেরা। কিন্তু জয় অধরাই থাকল তাদের। প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের দেওয়া লিড বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ধরে রাখে শেষ পর্যন্ত। জমাট রক্ষণের কারিশমা দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লড়াইয়ে এগিয়ে রইল দলটি।
বুধবার রাতে সিগনাল ইদুনা পার্কে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এ নিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১১টি ম্যাচে (৭ জয়, ৪ ড্র) অপরাজিত রইল তারা।
গ্রুপ পর্বেও দেখা হয়েছিল এই দল দুটির। ঘরের মাঠে সেবার এগিয়ে থেকেও ১-১ ড্র করে মানতে হয়েছিল ডর্টমুন্ডকে। তবে পার্ক দি প্রিন্সেসে তারা হেরে গিয়েছিল ০-২ গোলের ব্যবধানে। সেই ফলাফলেই আরও একটি ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে প্যারিসিয়ানরা। আগামী মঙ্গলবার পার্ক দি প্রিন্সেসে ফিরতি লেগের ম্যাচে মাঠে নামবে দলদুটি।
এদিন ম্যাচের দুই অর্ধে ছিল দুই দলের দাপট। প্রথমার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারা বাড়িয়েও গোলবঞ্চিত থাকে পিএসজি। সবমিলিয়ে ৫৭ শতাংশ বল দখলে ছিল তাদের। মোট ১৪টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে সফরকারীরা। অন্যদিকে ১৩ শটের ৪টি লক্ষ্যে থাকে ডর্টমুন্ডের।
এদিন ম্যাচের ১৪তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড। মার্সেল সাবিৎজারের শট রুখে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় দলটি। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেকের বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মান ফরোয়ার্ড ফুলক্রুগ।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে সাবিৎজারের ভলি দোন্নারুম্মা ফিরিয়ে না দিলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। সমতায় ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে ধার বাড়ায় পিএসজি। ছয় মিনিট যেতেই গোল পেতে পারতো দলটি। এমবাপের শট বার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর আশরাফ হাকিমির শটও লাগে আরেক পোস্টে।
৬০তম মিনিটে ফুলক্রুগের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ব্যবধান বাড়াতে পারতো ডর্টমুন্ড। ১২ মিনিট পর দেম্বেলে শট রুখে দেন গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। ৮০তম মিনিটে ভালো জায়গা থেকে আরও একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন দেম্বেলে। শেষ দিকেও ভালো সুযোগ পায় সফরকারীরা। তবে ফাবিয়ান রুইসের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ফলে হারতেই হয় তাদের।
Comments