চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী মৌসুমে খেলবে ইতালির পাঁচটি ক্লাব

ছবি: রয়টার্স

আগামী মৌসুম থেকে চালু হতে যাওয়া নতুন আঙ্গিকের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চারটির পরিবর্তে খেলবে ইতালির পাঁচটি ক্লাব। ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা আয়োজিত বিভিন্ন ক্লাব প্রতিযোগিতায় চলতি মৌসুমে দেশটির ক্লাবগুলোর সার্বিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে একটি বাড়তি স্থান প্রাপ্তি নিশ্চিত করল তারা।

এতদিন ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হচ্ছিল ৩২টি ক্লাবকে নিয়ে। পরের মৌসুম থেকে দলের সংখ্যা বেড়ে হবে ৩৬টি। বাড়তি চারটি ক্লাবের মধ্যে দুটি সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে জায়গা পাবে। বাকি দুটিকে পেরিয়ে আসতে হবে বাছাই পর্বের বাধা। যে দুটি ক্লাব সরাসরি জায়গা পাবে, তারা আসবে উয়েফার সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংধারী দুটি দেশের ক্লাবগুলোর আগের মৌসুমের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে।

এই মানদণ্ডেই ইতালি থেকে আগামী মৌসুমে একটি বাড়তি ক্লাব খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। চলতি মৌসুমে উয়েফা আয়োজিত তিনটি ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় দেশটির মোট সাতটি ক্লাব। তাদের মধ্যে উয়েফা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে এএস রোমা ও আতালান্তা এবং উয়েফা কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ফিওরেন্তিনা। এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে ইতালির নামের পাশে রয়েছে ১৯.৪২৮ পয়েন্ট। ফলে তাদের শীর্ষ দুটি র‍্যাঙ্কিংধারী দেশের মধ্যে থাকা পাকা হয়ে গেছে।

দুইয়ে অবস্থান করা জার্মানির পয়েন্ট ১৭.৯২৮। ইংল্যান্ড তিনে আছে ১৭.৩৭৫ পয়েন্ট নিয়ে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জার্মানির শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা জোরালো। কারণ তাদের তিনটি ক্লাব এখনও টিকে আছে উয়েফা আয়োজিত প্রতিযোগিতায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে আছে বেয়ার লেভারকুসেন। ইংল্যান্ডের কেবল অ্যাস্টন ভিলা টিকে রয়েছে কনফারেন্স লিগে।

১৬.০৮৩ নিয়ে চারে অবস্থান করা ফ্রান্সেরও ক্ষীণ সুযোগ আছে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুইতে থেকে মৌসুম শেষ করার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির পাশাপাশি ইউরোপা লিগে টিকে আছে অলিম্পিক মার্সেই। তবে ১৫.৩১২ পয়েন্ট পাওয়া স্পেনের কোনো সম্ভাবনাই নেই। শুধু রিয়াল মাদ্রিদ নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

10h ago