গ্যাব্রিয়েলের 'শিশুতোষ ভুলে' পেনাল্টি না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ টুখেল
ম্যাচের ৬৬তম মিনিটের ঘটনা। তখন ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ। গোলকিক পায় আর্সেনাল। রেফারি বাঁশি বাজালে শট নিয়ে পাশে থাকা গ্যাব্রিয়েলকে বল দেন গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। কিন্তু বল হাত দিয়ে ধরে পুনরায় বসিয়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। তাতেই সমস্বরে পেনাল্টির আবেদন করেন বায়ার্নের কোচ-খেলোয়াড়রা। কিন্তু বিষয়টি 'শিশুতোষ ভুল' বলে এড়িয়ে যান রেফারি।
মঙ্গলবার রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ ও আর্সেনাল। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে বুকায়ো সাকার গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ছয় মিনিট পরই সমতা ফেরান সার্জ নাব্রি। ৩২তম মিনিটে হ্যারি কেইনের সফল স্পটকিক থেকে উল্টো এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তবে ৭৬তম মিনিটে লিয়ান্ড্রো ট্রোসার্ডের গোলে ড্রই হয় ম্যাচটি।
তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় ওই গ্যাব্রিয়েলের ভুল নিয়েই। কারণ রেফারির বাঁশি শুনেই শট নিয়েছিলেন রায়া। সেই ঘটনায় সুইডিশ রেফারি গ্লেন নাইবার্গের পেনাল্টি না দেওয়ার ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারছেন না টুখেল, 'রেফারি একটি বড় ভুল করেছেন। আমি জানি এটি পরিস্থিতিটা পাগলাটে ছিল। তারা বল বসায়, সে বাঁশি বাজায় এবং ডিফেন্ডার তার হাত দিয়ে বল ধরে।'
'রেফারির সাহস ছিল না যে আমাদের একটি ন্যায্য পেনাল্টি দেওয়ার, এটা কিছুটা উদ্ভট এবং বিশ্রী পরিস্থিতি। আর মাঠে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটা আমাদের আরও বেশি রাগান্বিত করেছে। সে (রেফারি) আমাদের খেলোয়াড়দের বলেছিল যে এটা একটা শিশুতোষ ভুল এবং সে কোয়ার্টার ফাইনালে এমন পেনাল্টি দেবে না,' যোগ করেন টুখেল।
গ্যাব্রিয়েলের ভুলকে শিশুতোষ বলে রেফারি আরও বড় ভুল করেছেন বলে দাবি করেছেন বায়ার্ন কোচ, 'এটি একটি ভয়ঙ্কর, ভয়ঙ্কর রকমের ব্যাখ্যা। শিশুদের ভুল আর প্রাপ্তবয়স্কদের ভুল, যাই হোক না কেন - আমরা প্রচণ্ড রাগান্বিত কারণ এটি আমাদের বিরুদ্ধে এটা বিশাল একটি সিদ্ধান্ত ছিল।'
তবে সেই পেনাল্টি না পেলেও প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে শেষ পর্যন্ত ড্রয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরেছেন টুখেল। আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় গানারদের আতিথেয়তা দেবে বাভারিয়ানরা।
Comments