চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার অস্থায়ী অনুমতি পেল বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত

অর্থের বিনিময়ে রেফারিকে প্রভাবিত করার অভিযোগে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। সেই অনিশ্চয়তা আপাতত দূর হলো। তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেওয়ার অস্থায়ী অনুমতি দিল উয়েফা।

বৃহস্পতিবার উয়েফার আপিল বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, '২০২৩-২৪ মৌসুমে উয়েফার ক্লাব প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার অংশগ্রহণ সংক্রান্ত (তদন্ত) কার্যপ্রণালি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে... ২০২৩-২৪ মৌসুমে উয়েফার ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বার্সেলোনাকে অস্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।'

ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের আগামী ২০২৩-২৪ মৌসুমে খেলতে আপাতত কোনো বাধা নেই বার্সার। তবে পরবর্তীতে উয়েফার ক্লাব প্রতিযোগিতায় তাদের খেলার অনুমতি বা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম আবারও শুরু হতে পারে যদি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অথবা উয়েফার নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা পরিদর্শকরা (ইডিআইএস) অনুরোধ করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি কমিটির এক সময়ের সহ-সভাপতিকে বড় অঙ্কের অর্থ প্রদানের অভিযোগ ওঠে। স্প্যানিশ গণমাধ্যম কাদেনা সের দাবি করে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছর ধরে ওই অর্থ প্রদান করে বার্সা। যে কোম্পানিকে তারা অর্থ দিয়েছিল সেটার নাম 'ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভ'। প্রতিষ্ঠানটি ৭৭ বছর বয়সী হোসে এনরিকেজ নেগ্রেইরার। তিনি ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৪ বছর ধরে ছিলেন রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সহ-সভাপতি। যদিও বার্সেলোনা ও নেগ্রেইরার পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। দুই পক্ষের দাবি ছিল, পরামর্শক হিসেবে কাজের জন্য নেগ্রেইরাকে অর্থ দিয়েছিল বার্সা।

কাতালানদের বিরুদ্ধে গত মার্চে মামলা করে স্পেনের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস। পরে বার্সেলোনা শহরের একটি আদালত মামলা নিতে রাজি হয়। এরপর আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত দুই মৌসুমেই ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। তারা বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকে। এই প্রতিযোগিতায় পাঁচবারের শিরোপাজয়ী দলটি শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

7m ago