মেসির দুয়ো শোনা নিয়ে যা বললেন পিএসজি কোচ

ছবি: সংগৃহীত

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরার ম্যাচে দুয়ো শুনতে হলো লিওনেল মেসিকে। পিএসজির আর্জেন্টাইন মহাতারকার জন্য এমন অভিজ্ঞতা এখন আর নতুন নয়। এই প্রসঙ্গে দলটির কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে জানালেন, তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেও খেলায় মনোযোগ হারাননি অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড।

শনিবার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানে আজাক্সিওর বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন কিলিয়ান এমবাপে। একবার করে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ফাবিয়ান রুইজ ও আশরাফ হাকিমি। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। তবে ৩৫ বছর বয়সী মেসি গোল-অ্যাসিস্ট কিছুই পাননি।

গত মাসের শেষদিকে স্ত্রী-সন্তানসহ সৌদি আরব সফরে যান মেসি। কিন্তু ক্লাবের কাছ থেকে ভ্রমণের জন্য অনুমতি পাননি তিনি। এর কয়েক দিন পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, এই ঘটনায় তাকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পিএসজি। বিতর্কে জড়ানো মেসি নানামুখী আলোচনার মধ্যে গত ৫ মে ক্ষমা চান। এর দুদিন পর পিএসজির অনুশীলনে ফেরেন তিনি। এবার ম্যাচ খেলতেও দেখা গেল তাকে, নিষেধাজ্ঞার প্রাথমিক সময়সীমা অতিক্রমের আগেই।

ফেরার ম্যাচটা দলগত দিক থেকে মেসির জন্য আনন্দের হলেও ব্যক্তিগতভাবে তেমনটা ছিল না। শুরুর দিকে পায়ে বল গেলেই তাকে নিজ ক্লাবের ভক্ত-সমর্থকদের একাংশের দুয়োধ্বনি শুনতে হয়। চলতি মৌসুমে এমন ঘটনা আগেও কয়েকবার ঘটেছে।

আধিপত্য দেখিয়ে জয়ের পর গণমাধ্যমের কাছে দুয়োধ্বনি দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার কথা বলেন গালতিয়ে, 'তো মেসিকে দুয়ো দেওয়া হচ্ছিল। তবে দ্রুতই স্টেডিয়ামের বড় অংশের দর্শকরা লিওর সমর্থনে সরব হয়। এতে দুয়োধ্বনি চাপা পড়ে যায়।'

পিএসজির ফরাসি কোচ মেসির প্রশংসায় যোগ করেন, 'সে খেলাকে প্রাণবন্ত করার ও সুযোগ বানানোর আকাঙ্ক্ষাতে মনোযোগী ছিল। সে এসবে (দুয়ো শোনা) অভ্যস্ত। কারণ, নিজের ক্যারিয়ারে তাকে কঠিন সব পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।'

লিগ ওয়ানের শিরোপা ধরে রাখার দ্বারপ্রান্তে থাকা পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা ক্ষীণ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুঞ্জন চলছে, ফ্রান্সের ক্লাবটি ছাড়ার পর মেসির নতুন ঠিকানা হবে সৌদি আরব। গত মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সৌদি প্রো লিগে খেলার জন্য মেসি চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তবে সেদিনই তা অস্বীকার করে বিবৃতি দেন তার বাবা ও মুখপাত্র হোর্হে মেসি।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

10h ago