জাতীয় লিগে বিদেশি খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বিসিবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর উইন্ডোতে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণ আয়োজন করতে চলেছে। এতে সুযোগ পাবেন অনেক তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়, তারা পারফর্ম করলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনায় আসবেন। জাতীয় লিগের প্রথম শ্রেণীর সংস্করণে বিদেশি খেলোয়াড় যুক্ত করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে এবার।
বিসিবি'র প্রোগ্রামস প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বিশ্বাস করেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ২০ জন খেলোয়াড়ের একটা পুল থাকা হবে আদর্শ। সাবেক এই অধিনায়কের মতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টুর্নামেন্টটি পারফরম্যান্স মূল্যায়নের জন্য একটি ভালো মানদণ্ড হবে।
লিটন দাসরা শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে, দলের আদল বেশ ভালোই। তবু আরও কিছু ব্যাটার ও বোলার খুঁজে বের করতে পারলে সেটা যথেষ্ট বিকল্প এনে দেবে, 'ঘরোয়া টি২০ টুর্নামেন্ট না হলে বলা কঠিন (পাওয়া যাবে কিনা), একবার কিছু পারফর্মার পেয়ে গেলে আমরা তাদের গড়ে তুলতে পারব কারণ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য তাদের হাতে ছয় মাস সময় থাকবে।'
গত বছর জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি আসর হয়েছিলো সিলেটে, বিপিএলের ঠিক আগে হওয়ায় সূচি ছিলো ঠাসা।বিসিবি কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন এবার এই টুর্নামেন্ট হবে তিন ভেন্যুতে। থাকবে বিরতি। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত হবে খেলা। টুর্নামেন্টে যাতে ভালো উইকেটে খেলা হয় সেদিকটাও মাথায় রাখবেন তারা।
প্রথম শ্রেণীতে বিদেশিদের রাখার প্রস্তাব
জাতীয় লিগের চারদিনের প্রথম শ্রেণীর আসর শুরু হবে ১৫ অক্টোবর থেকে। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি শেষের পরই শুরু হবে চারদিনের টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্ট কমিটি প্রতিটি দলে দুজন বিদেশি খেলোয়াড় – একজন ব্যাটসম্যান এবং একজন পেসার – অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে।
এক সময় বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর এই আসরে বিদেশি খেলোয়াড়রা এসে খেলতেন। মাঝে তা বন্ধ হয়ে যায়। পুরনো নিয়ম আবার ফেরানো হচ্ছে। দ্য ডেইলি স্টারকে মিনহাজুল বলেন, 'টেকনিক্যাল কমিটি থেকে আমরা জাতীয় লিগের দীর্ঘ সংস্করণের জন্য এই প্রস্তাব দেব'
'আমরা চারদিনের প্রতিযোগিতাটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক এবং প্রাণবন্ত করতে চাই, তাই আমরা এই পরিবর্তনগুলো প্রস্তাব করব।'
তবে, অক্টোবর-নভেম্বর উইন্ডোতে বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা আছে। কারণ উপমহাদেশের খেলোয়াড়রা সে সময় তাদের নিজস্ব ঘরোয়া খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে।
এদিকে স্থগিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিএসএল)'র চারদিনের প্রতিযোগিতা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা আছে। সেখানে একটি বিদেশি দল যেমন শ্রীলঙ্কা 'এ' বা আফগানিস্তান 'এ' টুর্নামেন্টে খেলতে পারে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে, বিসিবি চায় ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়ন।
Comments