আক্ষেপের সঙ্গে গর্বও আছে গিলের

শোয়েব বশিরের বলটা মোহাম্মদ সিরাজ ডিফেন্স করার পর স্টাম্পে গিয়ে না লাগলে হয়ত বাকি ২৩ রান তুলে ফেলতেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিংবা আরও একজন ব্যাটার অন্তত ২০ রান করলেই তো হয়ে যেত। এত কাছে গিয়ে হারের যন্ত্রণায় পড়া ভারতীয় দলে ভর করছে আক্ষেপ। তবে একই সঙ্গে কোণঠাসা অবস্থা থেকে এমন লড়াইয়ের জন্য গর্বও হচ্ছে শুবমান গিলের।
১৯৩ রানের লক্ষ্যে ৮১ রানে ৬ ও ১১২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে লর্ডস টেস্টে অনায়াস হারের দিকে ছিলো ভারত। সেই জায়গা থেকে টেল এন্ডারদের নিয়ে অবিশ্বাস্য লড়াই করেন জাদেজা। জাসপ্রিত বুমরাহকে নিয়ে ২২ ও সিরাজকে নিয়ে ১৩ ওভারের বেশি ব্যাট করেন তিনি। জয় থেকে ২৩ রান দূরে সিরাজ আউট হলে ৬১ রানে অপরাজিত থেকে যান ভারতের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১। জাদেজার বুক চিতিয়ে লড়াইয়ে আলাদা করে প্রশংসা করলেন গিল, 'তিনি [জাদেজা] ভারতের অন্যতম মূল্যবান খেলোয়াড়। আমার মনে হয়, তিনি যে অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে, তার বোলিং, ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ের যে দক্ষতা সেট নিয়ে আসে, তা খুবই বিরল এবং খুঁজে পাওয়া কঠিন। আর আজ তিনি যে ধরনের স্থিরতা দেখিয়েছে, তা দেখাটা ছিল অসাধারণ। আমার মনে হয়, লোয়ার অর্ডারের সাথে ব্যাটিং করা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা আগের দুটি ম্যাচে কথা বলেছিলাম, যে আমাদের লোয়ার অর্ডার ততটা অবদান রাখছে না। কিন্তু আমার মনে হয়, তারা যে চরিত্র এবং সাহস দেখিয়েছে তা ছিল অসাধারণ।'
গিলের মতে শেষ দিনে ম্যাচে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার পরও আবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় দেখানো তাদের দলের জন্য গর্বের, 'আমরা শেষ পর্যন্ত যেভাবে ম্যাচে ছিলাম, তাতে মনে হচ্ছিল যদি একটি জুটি আরও ১০ রান যোগ করত, তাহলে আমরা খুব কাছাকাছি যেতে পারতাম। আর আমার মনে হয়, এটা দলের পক্ষ থেকে একটি অত্যন্ত গর্বের প্রচেষ্টা।'
প্রথম দুই টেস্টে ভারতের টপ অর্ডার থেকে এসেছে প্রচুর রান। তৃতীয় টেস্টে লোকেশ রাহুল আর রিশভ পান্ত প্রথম ইনিংসে রান পান, বাকিরা ছিলেন ব্যর্থ। তবে এরকম সামান্য ব্যর্থতা স্বাভাবিক মনে করেন ভারত অধিনায়ক, 'আমার মনে হয়, আমরা গতকাল এবং আজ ততটা ভালো খেলিনি। টপ অর্ডারে যদি আমরা ৫০ রানের একটি বা দুটি জুটি গড়তে পারতাম, তাহলে ৩০-৪০ ওভারের পর ব্যাটিং করা সহজ হত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এবারই প্রথম যে আমরা সিরিজে এতটা ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। কিন্তু কখনও কখনও এমনটা হয়।'
Comments