বাংলাদেশ টিকল মাত্র ৩৪ বল, হারল ইনিংস ব্যবধানে

যাকে ঘিরে ছিল লড়াইয়ের আশা, সেই লিটন দাসই সাজঘরে ফিরলেন সবার আগে। বাঁহাতি স্পিনার প্রবাত জয়সুরিয়ার সামনে অসহায় বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের সকালে মাত্র ৩৪ বল টিকতে পারল। নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় শঙ্কা সত্যি করে শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস ব্যবধানেই হারল তারা।
লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। শনিবার কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৩৩ রানে থেমেছে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ইনিংসে তাদের ২৪৭ রানের জবাবে স্বাগতিকরা করেছিল ৪৫৮ রান।
মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সফরকারীদের গুটিয়ে দেয় লঙ্কানরা। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। বাকি ৪ উইকেট খুইয়ে দলটি যোগ করতে পারে আর কেবল ১৮ রান। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবম ও সব মিলিয়ে ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
টাইগারদের গুঁড়িয়ে দিতে ৫৬ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন প্রবাত। এই সিরিজে আগের তিন ইনিংসে স্রেফ ১ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ম্যাচসেরা হন শ্রীলঙ্কার একমাত্র ইনিংসে ১৫৮ রান করা ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা। আগের টেস্টেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। খেলেছিলেন ১৮৭ রানের ইনিংস। সিরিজসেরার পুরস্কারও তারই।
গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট হয়েছিল ড্র। এই টেস্ট জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত দুই ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল।
দিনের পঞ্চম বলেই বিদায় নেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন। প্রবাতের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। ৪৩ বলে তার সংগ্রহ ১৪ রান। লিটন আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংস আর কতক্ষণ টেকে সেটাই ছিল কেবল দেখার। কারণ, হার তখনই একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়।
প্রবাতের পরের শিকার হন নাঈম হাসান। পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে ক্রিজের বাইরে চলে যান তিনি। দ্রুততার সঙ্গে বল লুফে স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক কুসল মেন্ডিস। ৮ বল খেলে নাঈম করেন ৫ রান। টানা ৩ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন প্রবাত। ফিরতি ক্যাচ দিয়ে তাইজুল ইসলাম মাঠ ছাড়েন ১৫ বলে ৬ রানে।
বাংলাদেশের দুর্দশার ইতি ঘটান আরেক স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে। ৭ বলে ৬ রান করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ইবাদত হোসেন। রিভিউ নিলেও পাল্টায়নি মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত। অন্যপ্রান্তে অপরাজিত থেকে যান নাহিদ রানা।
Comments