‘ব্যর্থ হওয়ার ভয় তাড়িয়ে’ স্বপ্ন পূরণের রান তাড়া করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

Aiden Markram and Temba

আর মাত্র ৬৯ রান, চতুর্থ দিনে এই কটা রান নিয়ে নিলেই প্রথমবারের মতন দক্ষিণ আফ্রিকাকে বলা যাবে বিশ্ব সেরা। আইসিসি আসরে আজীবন নকআউট ম্যাচে এসে পা হড়কানো দক্ষিণ আফ্রিকা তাহলে ঘোচাতে পারবে চোকার্স অপবাদ। চাপ তৈরি হলেই সেই চাপে ভেঙে পড়া, ব্যর্থতার ভয়ে কাবু প্রোটিয়াদের দেখা যেত এতদিন। অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার বলেছেন তারা এবার সেই ভয় তাড়িয়ে রান তাড়া করছেন।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি এখন টেম্বা বাভুমার দলের হাত ছোঁয়া দূরত্বে। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেটে ২১৩ রান তুলে দিন শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৪৩ রানের জুটিকে ১০২ করে এইডেন মার্করাম ও অধিনায়ক বাভুমা ক্রিজে আছেন ৬৫ রানে। দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন মুল্ডার। তিনে নেমে যিনি দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫০ বলে ২৭ রান।

মুল্ডার জানান কোচ শুকরি কনরাডের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে ভরসা নিয়ে এগুচ্ছে প্রোটিয়া দল,  'ব্যর্থতার ভয় তাড়িয়ে দিয়েছে এই তাড়া। শুকরি কনরাড বলেছেন, লক্ষ্য যা-ই হোক না কেন, আমাদের তার পেছনে ছুটতে হবে। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন তারা ভালো বল করবে।'

এই রান তাড়ার কারিগর দলের দুই সেরা ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্করাম-বাভুমা। ৭০ রানে ২ উইকেট পড়ার পর জুটি বেধে পুরো খেলা নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছেন। অস্বাভাবিক কোন ধস না হলে এখন স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানো দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সময়ের ব্যাপার, 'মার্করাম ও বাভুমার মধ্যে অসাধারণ এক জুটি হয়েছে, গত দুই বছরে দুজনই অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেছেন। তারা সব চাপ শুষে খেলাটা বের করে ফেলেছেন।'

লর্ডসে প্রথম দুই দিন উইকেটে ছিলো বোলারদের দাপট। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২১২ রানে। কাগিসো রাবাদা নেন ৫ উইকেট। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় প্রথম ইনিংসে। প্যাট কামিন্স নেন  ৬ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও মিচেল স্টার্কের বীরত্বে ২০৭ রান করে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দিয়ে দেয় অজিরা। তৃতীয় দিনে উইকেটের চরিত্র পেসারদের ততটা সহায়তা করছে না। মুল্ডার জানান পিচ নাকি কিছুটা ধীরগতির হয়ে গেছে,  'পিচ আজ ধীরগতির ছিল, প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের চেয়েও ধীর। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ততটা ছিল না। এমনকি যখন আমরা বোলিং করেছি, সবকিছুই ধীরে ধীরে হয়েছে। পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করতে পেরে আনন্দিত।'

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

8h ago