রাহুল এবার বুঝতে পারছেন টি-টোয়েন্টি স্রেফ বাউন্ডারি মারার খেলা

লোকেশ রাহুল প্রায় প্রতি আইপিএলেই নিয়মিত রান করেন। তবে রান করলেও তার পেছনে ছিলো দুর্নামও। হালের ভারতীয় তরুণ তারকারা যেখানে দুইশোর কাছাকাছি স্ট্রাইকরেটে খেলেন, রাহুলের এই জায়গায় থেকে যায় বড় ঘাটতি। খেলাটাকে গভীরে নিয়ে বড় ইনিংস খেলার ধরণ ছিলো তার। এবারের আইপিএলে সেই রাহুলকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন অ্যাপ্রোচে। অভিজ্ঞ এই ভারতীয় ব্যাটার বলছেন তার ভাবনার জগতই বদলে গেছে।
এবার মেগা নিলামে ১৪ কোটি ভারতীয় রুপিতে দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেন রাহুল। পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য প্রথম ম্যাচ খেলেননি। পরের দুই ম্যাচে ৫ বলে ১৫ (৩০০ স্ট্রাইকরেট) ও ৫১ বলে ৭৭ (১৫০ স্ট্রাইকরেট) করেন এই ডানহাতি।

নির্ভার রাহুল আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতে কোন অ্যাপ্রোচে খেলবেন সেই বার্তা এরমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন। এবার কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে আলাপে ব্যাখ্যা দিয়েও জানালেন টি-টোয়েন্টি ঘিরে তার চিন্তার জগতে এসেছে বদল, 'আমার মনে হয় কোথাও একটা গিয়ে আমি বাউন্ডারি মারা এবং ছক্কা মারার মজাটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি খেলাটিকে অনেক, অনেক গভীরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম এবং সেটা কোনোভাবে আমার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আমি বুঝতে পেরেছি আমার এখান থেকে সরে যাওয়া দরকার। ক্রিকেট বদলেছে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুধুমাত্র বাউন্ডারি মারার খেলা। যে দল বেশি বাউন্ডারি এবং ছক্কা মারে তারাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতে।'
নিজেকে পাল্টে ফেলার পেছনে ভারতীয় সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারকে কৃতিত্ব দেন তিনি, যার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার ফল পাচ্ছেন। রাহুল জানান তিনি সাদা বলের সংস্করণের প্রতি আবারও ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন, 'গত এক-দেড় বছরে আমি আমার সাদা বলের খেলার উপর সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি। অভিষেক নায়ারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। ভারতীয় দলে আসার পর থেকে আমি তার সঙ্গে অনেক কাজ করেছি।'
'আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক সঙ্গে বসে সাদা বলের খেলা এবং কীভাবে আমি আরও ভালো করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। বোম্বেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক সঙ্গে কাজ করেছি। এক পর্যায়ে আবার আমি সাদা বলের ক্রিকেট খেলার মজা খুঁজে পেয়েছি।'
Comments