জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে আব্বাসের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড

ছবি: এএফপি

২০০৩ সালে মুহাম্মদ আব্বাসের জন্ম পাকিস্তানের লাহোরে। পরবর্তীতে পরিবার নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমানোয় তিনি শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছেন সেখানে। দেশটির হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তিনি। কোন দলের বিপক্ষে? পাকিস্তান!

শনিবার নেপিয়ারে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার আব্বাসের। শুরুতেই বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নজর কাড়লেন তিনি। ঠাঁই করে নিলেন ইতিহাসের পাতায়।

ছয়ে নেমে আব্বাস খেলেন ৫২ রানের ঝলমলে ইনিংস। মাত্র ২৬ বল মোকাবিলায় তিনটি করে চার ও ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তিনি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ২৪ বলে। অভিষেক ওয়ানডেতে এত কম বলে ফিফটি ছুঁতে পারেননি আর কেউ। এতদিন এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন দুজন। ভারতের ক্রুনাল পান্ডিয়া ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলিক আথানেজ ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সমান ২৬ বলে ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন।

আব্বাস ক্রিজে যান ৪২তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের বিদায়ের পর। সেসময় দ্রুত রান তোলার চাহিদা দারুণভাবে পূরণ করেন তিনি। বিনোদনদায়ী ব্যাটিংয়ে রেকর্ড গড়ার পর মোহাম্মদ আলীর শিকার হয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শেষ বলে ফেরেন সাজঘরে। এর আগে মার্ক চ্যাপম্যানের সঙ্গে ১২ বলে ৩১ এবং জ্যাকব ডাফির সঙ্গে ২০ বলে ৩৮ রানের কার্যকর দুটি জুটি গড়েন তিনি।

ইনিংস বিরতিতে সম্প্রচারকদের কাছে উচ্ছ্বাস গোপন রাখেননি আব্বাস, 'এটা স্পেশাল কিছু। এখন অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। দলের জন্য অবদান রাখাটাও স্পেশাল এবং চ্যাপি (চ্যাপম্যান) অবিশ্বাস্য ছিল। মাঠে ঢোকার পর আমি যা যা করতে পারি তা দেখানো আমার ও আমার পরিবারের জন্য স্পেশাল কিছু। তারা গ্যালারিতে ভীড়ের মধ্যে কোথাও বসে আছে।'

আব্বাসের স্মরণীয় দিনে বিশাল পুঁজি পেয়েছে কিউইরা। টস হেরে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে তারা দিয়েছে ৩৪৫ রানের লক্ষ্য। চ্যাপম্যান সর্বোচ্চ ১৩২ রান করেন ১১১ বলে। মিচেলের ব্যাট থেকে আসে ৮৪ বলে ৭৬ রান। এছাড়া, পাকিস্তানের এলোমেলো বোলিংয়ের কারণে অতিরিক্ত খাত থেকে ৪৩ রান মিলেছে নিউজিল্যান্ডের।

ডানহাতি ব্যাটার হলেও আব্বাস বাঁহাতি পেস বোলার। তিনি কিউই দলে ডাক পেয়েছেন লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে মাত্র ১৫ ম্যাচ খেলেই। তার বাবা আজহার আব্বাসও ছিলেন ক্রিকেটার। করতেন পেস বোলিং। যদিও পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে কখনও খেলার সুযোগ হয়নি তার।

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

8h ago