'পাকিস্তানে সমালোচনা করা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে'

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা প্রায় সময়ই তির্যক মন্তব্য করে শিরোনামের কারণ হয়ে উঠেন। দুঃসময়ে দেশটির ক্রিকেটারদের পেছনে সমালোচকরা যেন উঠে পড়ে লেগে যান। বর্তমানে ক্রিকেট মাঠে কঠিন সময় পার করছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড থেকে হারিস রউফ এবার কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, দেশের সবাই নাকি তাদের হার দেখার অপেক্ষায় থাকেন।

বর্তমানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে পাকিস্তান। সালমান আলী আঘার নেতৃত্বে প্রথম দুই ম্যাচে একপেশে হার পেয়েছে দলটি। বড় হার জুটেছে দুই ম্যাচেই। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভরাডুবি হয়েছে পাকিস্তানের। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারুণ্যনির্ভর দল গড়ে লড়াইবিহীন হারছে দল। এজন্য সমালোচনা যে চরমভাবে হবে, তাসমান সাগর পাড়ের দেশে বসে সেটি ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন হারিস রউফ।

গতিময় এই পেসার গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুতে সবাই ভোগান্তিতে পড়ে। আপনি সমালোচনার কথা বললেন, এটা পাকিস্তানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই পাকিস্তানের হার দেখার জন্য বসে থাকে, যাতে তারা সেটি নিয়ে কথা বলতে পারে। তাদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। কিন্তু আমরা দল গঠনের চেষ্টায় আছি।'

প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। এরপর ৫৯ বল হাতে রেখে লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে ব্ল্যাকক্যাপসরা। দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টিবাধায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৫ ওভারে। পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য মাইকেল ব্রেসওয়েলের নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে সহজেই পেরিয়ে যায়।

চলমান সিরিজে অনভিজ্ঞ অনেককে নিয়ে খেলছে পাকিস্তান। তাদের সময় দিতে বললেন রউফ, 'আপনি সমালোচনার কথা বললেন, এটা পাকিস্তানে সাধারণ হয়ে গিয়েছে। এরা তরুণ খেলোয়াড়, আপনি যেকোনো জায়গায় যান, বিশ্বের যেকোনো দলকে দেখেন, তারা তরুণদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়৷ তারা তরুণদের সুযোগ দিয়ে থাকলে সেটি যেন টানা ১০-১৫ ম্যাচ হয় তা নিশ্চিত করে। এভাবেই তারা খেলোয়াড় তৈরি করে।'

মাঠের বাইরের সমালোচনার জবাব দেওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম পারফরম্যান্স। আগামী শুক্রবার অকল্যান্ডে সালমানের দল নিশ্চয়ই সে আশা নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে মাঠে নামবে।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

15h ago