শান্তর নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নতুন বছরে

ছবি: বিসিবি

নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বর মাসে। আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক থাকবেন কিনা তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। এই ব্যাপারে এখনও আলাপ না করা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নেবে নতুন বছরে।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের তিন সংস্করণের অধিনায়ক হিসেবে বাঁহাতি ব্যাটার শান্তর নাম ঘোষণা করেছিল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তৎকালীন বোর্ড প্রধান নাজমুল হোসেন পাপন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'বোর্ড সভার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শান্তকে এই বছরের জন্য অধিনায়ক নির্বাচন করেছি।'

কুঁচকির চোটে বাংলাদেশের সদ্যসমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে পারেননি শান্ত। তার অনুপস্থিতিতে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের অধিনায়ক ছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলনেতার ভূমিকা পালন করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। তার নেতৃত্বে ক্যারিবিয়ানদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানান, বিসিবি চাইলে পূর্ণ মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করতে তৈরি তিনি।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় বোর্ড সভা শেষে। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয় শান্তর নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তাদের হাতে সময় রয়েছে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, '(শান্তর অধিনায়কত্ব) এটা আসলে এই মুহূর্তে... মাত্রই একটা সিরিজ শেষ হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আমাদের আর খেলা নেই। ছেলেরা বিপিএল খেলবে। তো আমাদের হাতে সময় আছে। এই ব্যাপারে কোনো আলাপ হয়নি। সময়মতো আমরা আলাপ করে নেব।'

ফারুক একটা সম্ভাব্য সময়ও বলে দিয়েছেন, 'ডিসেম্বরের পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব (শান্তর অধিনায়কত্বের ব্যাপারে)।'

গত অক্টোবর থেকেই চলছে শান্তর সব সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জন। তখন জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের পরই অধিনায়কের পদ ছাড়ার ইচ্ছা তার। ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তিনি বলেছিলেন, 'দেখা যাক কী ঘটে! কারণ, আমি এখনও বিসিবি সভাপতির মতামতের অপেক্ষায় আছি।'

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago