জিম্বাবুয়েকে ৫৪ রানে অলআউট করে রেকর্ড জয় আফগানিস্তানের
ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে খেলতে নেমে সেদিকউল্লাহ অটল তুলে নিলেন প্রথম সেঞ্চুরি। এই সংস্করণে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা আব্দুল মালিক ফিরলেন তিন অঙ্কের আশা জাগিয়ে। তাদের ১৯১ রানের উদ্বোধনী জুটির সুবাদে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ল আফগানিস্তান। এরপর আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর, নাভিদ জাদরান ও ফজলহক ফারুকির তোপে জিম্বাবুয়েকে স্রেফ ৫৪ রানে অলআউট করল তারা। পেল ওয়ানডেতে রানের হিসাবে নিজের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
বৃহস্পতিবার হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৩২ রানে জিতেছে আফগানরা। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে তারা। একই ভেন্যুতে গত মঙ্গলবার আগের ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছিল টানা বৃষ্টির কারণে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনারদের নৈপুণ্যে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৭.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথম দুইশ বা এর চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে জিতল আফগানিস্তান। আগের রেকর্ডটি তারা গড়েছিল গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেবার ১৭৭ রানে জিতেছিল দলটি।
ম্যাচসেরা বাঁহাতি অটল ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ১২৮ বল মোকাবিলায়। তার ব্যাট থেকে আসে আটটি চার ও চারটি ছক্কা। ডানহাতি মালিক করেন ৮৪ রান। তিনি ১০১ বল মোকাবিলায় মারেন ১১টি চার ও একটি ছক্কা। ৩৫তম ওভারে তাদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এরপর আফগানিস্তানের আর কেউ শক্ত ভিতকে কাজে লাগিয়ে ঝড় তুলতে পারেননি। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রহমত শাহ ফেরেন দ্রুত। পাঁচে নামা অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ৩০ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন চারটি চারের সাহায্যে। তার সঙ্গে ৩৭ বলে ৪৭ রানের জুটিতে মোহাম্মদ নবির অবদান ১৬ বলে ১৮ রান। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ইকরাম আলিখিল।
শেষ ১০ ওভারে ৭৩ রান তুলতে আফগানরা হারায় ৪ উইকেট। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল নিউম্যান নিয়ামুরি। লাইন ও লেংথে ভুগে অতিরিক্ত হিসেবে দলটির বোলাররা দেন ৪০ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। সপ্তম ওভারে ১১ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৪ উইকেট। এরপর শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা প্রতিরোধ গড়ার আভাস দিলেও সফল হননি। কেবল এই দুজনই পৌঁছান দুই অঙ্কে। রাজা অপরাজিত থেকে যান ৩২ বলে ১৯ রানে। উইলিয়ামস করেন ১৮ বলে ১৬ রান। স্বাগতিকরা পরের ৬ উইকেট খোয়ায় ২২ রানে।
আফগানিস্তানের পক্ষে রহস্য স্পিনার গজনফর ৯ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে ডানহাতি পেসার নাভিদের খরচা ১৩ রান। বাঁহাতি পেসার ফারুকি ২ উইকেট পান ১৫ রানের বিনিময়ে। একটি উইকেট যায় ওমরজাইয়ের ঝুলিতে। বাকিটি রানআউট। বোলিংয়ের দরকারই পড়েনি তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান ও অভিজ্ঞ অফ স্পিনার নবির।
Comments