প্রয়াত বাবাকে জয় উৎসর্গ করলেন স্মৃতিকাতর জাকের
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে সর্বশেষ যখন বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ জিতে তখন জাকের আলি অনিক ১১ বছরের কিশোর। রাত জেগে সেবার তিনি দেখেছিলেন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়। ১৫ বছর পর এবার তিনি নিজেই বাংলাদেশের জয়ে রাখলেন বড় ভূমিকা, তার খেলা দেখতে রাত জাগলেন আরও অনেকে।
জ্যামাইকার কিংসটনের স্যাবাইনা পার্কে মঙ্গলবার বাংলাদেশ দলের জন্য আরেকটি সুখের দিন (বলা ভালো রাত)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন বিশ্ব ক্রিকেটে প্রথম সারির দল না হলেও তাদের ঘরের মাঠে যথেষ্টই শক্তিশালী। গত তিন সফরে বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফেরাও যার প্রমাণ রাখে।
এবারও হোয়াইটওয়াশের শঙ্কাই ছিলো প্রবল। অ্যান্টিগায় বিশাল হারের পর জ্যামাইকাতেও মেহেদী হাসান মিরাজদের প্রথম ইনিংস থেমে যায় স্রেফ ১৬৪ রানে। তবে হাল না ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প এরপর থেকে। নাহিদ রানার পেসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে গুটিয়ে নেয় ১৮ রানের লিড। বাকি পথে বড় দায়িত্ব পালন করেছেন জাকের।
ছয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১০৬ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৯১ রানের ইনিংস। উল্লেখযোগ্য রান আনেন টেল এন্ডারদের নিয়ে। জাকেরের ব্যাটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে ১০১ রানে জিততে পারে বাংলাদেশ। অর্জনের দিনে জাকের মনে করলেন ২০০৯ সালের স্মৃতি। যেবার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ, টেস্ট সিরিজ জিতেছিলো ২-০ ব্যবধানে। যদিও সেই ক্যারিবিয়ান দলটি ছিলো খর্বশক্তির।
তরুণ ব্যাটার জাকের নিজের প্রয়াত বাবাকে এই টেস্ট জয় উৎসর্গ করে লিখেছেন আবেগময় পোস্ট, 'তখন আমার বয়স ১১। ২০০৯ সালের সেই সিরিজ এর একটা ম্যাচও আমি মিস করি নাই,সারারাত জেগে বাংলাদেশের খেলা দেখতাম। আব্বা ভোর রাতে উঠে দেখে আমি খেলা দেখছি। অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ,কিন্তু কোনো বকা দিলনা। ১৫ বছর পর একই সিরিজে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলছি।আব্বা বেঁচে থাকলে হয়তো রাত জেগে খেলা দেখতো। যাইহোক এটা আব্বা তোমার জন্য।'
Comments