কন্ডিশনের কারণে বড় অর্জন মনে করছেন তাসকিনরা

Taskin Ahmed & Taijul Islam

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে টেস্টে এর আগে দুই জয় ছিলো বাংলাদেশের। ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালে সেই দুই জয় এসেছিলো খেলোয়াড় বিদ্রোহের কারণে খর্ব-শক্তির দল নিয়ে খেলা দলের বিপক্ষে। এরপর আরও তিনবার সফরে গিয়ে ফিরতে হয়েছিলো বিশাল সব হার নিয়ে। এবারও প্রথম টেস্টে বড় হারে একই পরিণতির শঙ্কা ছিলো। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ফিরছে সিরিজ সমতায় শেষ করার স্বস্তি নিয়ে। এবারের জয়টাকে তাই নানান কারণে অনেক বড় অর্জন মনে হচ্ছে সিরিজ সেরা তাসকিন আহমেদ ও ম্যাচ সেরা তাইজুল ইসলামের।

জ্যামাইকায় প্রথম ইনিংসে অল্প রানে গুটিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০১ রানের জয় বাংলাদেশ দলকে দিচ্ছে দম ফেলার ফুরসত। কারণ আগের টেস্টে ২০১ রানে হার, তার আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ, ভারতে গিয়েও একই পরিণতি। অগাস্টে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্মৃতি হয়ে পড়েছিলো ফিকে। হতাশার চক্র থেকে বেরুনোর তাগিদ ছিলো প্রবল। 

কঠিন কন্ডিশনের সঙ্গে চলমান চাপ মিলিয়ে এই জয় তাই বিশেষ। দুই টেস্টের সিরিজে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নেওয়া তাসকিন বললেন তেমনটাই, 'এটা অনেক বড় অর্জন। কারণ কঠিন কন্ডিশনে জিতেছে। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দলও সংগ্রাম করে। আমরা কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর আমরা কয়েকটা সিরিজ হারাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। শক্তভাবে ফিরে এসেছি। দুইটা ম্যাচে সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি, সিরিজ সেরা হয়েছি। আমি আমার বাহু (চোটগ্রস্থ) নিয়ে টেস্টে আসার চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছি। আশা করছি এমন অনেক অর্জন ধরা দেবে।'

দুই ইনিংসেই ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ ধাপে তাসকিন বাংলাদেশকে রাখেন ম্যাচে। ঠিক একই কাজ তাইজুল করলেন দ্বিতীয় টেস্টে। ২৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে থাকা ক্যারিবিয়ানদের ১৮৫ রানে গুটিয়ে দিতে ৫০ রানে ৫ শিকার ধরলেন বাঁহাতি স্পিনার। ম্যাচ সেরা হয়ে বললেন ভেতরে থাকা তাড়নাবোধ থেকে জয় পেয়েছেন তারা,  'বাংলাদেশ দলের জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক তরুণ খেলোয়াড় ছিলো, কিছু খেলোয়াড় ছিলো হয়তবা ৮-১০ বছর ধরে খেলছে। সবাই ভালো একটা সমন্বয় ছিলো। সবার মধ্যে ভালো একটা তাড়না ছিলো ম্যাচ জিতব, সবাই যে চেষ্টা করেছে সেটা অসাধারণ ও অতুলনীয়।'  

 ' চতুর্থ ইনিংসে যখন বোলিং করতে এসেছি, আমার ওপরে দলের একটা বড় চাওয়া ছিল। আমার বোলিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। দলের যে চাওয়া ছিল ওটা আলহামদুলিল্লাহ আমি পূরণ করতে পেরেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

17h ago