ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ফিরলেন শাহিন আফ্রিদি
আবারও সেই পুরনো শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দেখা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ২২ বছর পর দেশটির মাটিতে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে নিজেও পেয়েছেন দারুণ এক পুরস্কার। এক বছর পর আবারও ফিরেছেন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচে ১২.৬২ গড়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন শাহিন। তাতেই তিন ধাপ এগিয়ে এক নম্বরে উঠে আসেন এই পাকিস্তানি পেসার। অন্যদিকে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। ফলে ওয়ানডেতে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই শীর্ষে এখন পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
শাহিনের উত্থানে শীর্ষস্থান ছেড়ে দিতে হয়েছে কেশভ মহারাজকে। এক ধাক্কায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেছেন এই প্রোটিয়া স্পিনার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো পারফর্ম করে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছেন রশিদ খান। চারে নেমেছেন ভারতের কুলদিপ যাদব।
শাহিনের সতীর্থ হারিস রউফের উন্নতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার দুর্দান্ত ১০ উইকেট শিকারে সিরিজ সেরার পুরস্কার পাওয়া এই পেসার এক লাফে ১৪ ধাপ এগিয়ে ১৩তম স্থানে পৌঁছেছেন। নাসিম শাহ একইভাবে ১৪ ধাপ এগিয়ে ৫৫তম স্থানে রয়েছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও উন্নতি হয়েছে শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের। নয় ধাপ এগিয়ে ২৩ নম্বর স্থানে আছেন এই অলরাউন্ডার। ছয় ধাপ এগিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান আছেন ৩৬ নম্বরে। এক ধাপ এগিয়ে ৩৯ নম্বরে আছেন তাসকিন আহমেদ। বড় লাফ দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। ৩৯ ধাপ এগিয়ে আছেন ৭২ নম্বরে। তবে ১০ ধাপ পিছিয়ে ৩৪ নম্বরে নেমে গেছেন শরিফুল ইসলাম।
ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। ১১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ২৩ নম্বরে। যেখানে যৌথভাবে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পারফর্ম করা মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি এগিয়েছেন দুই ধাপ। বোলিং মতো ব্যাটিংয়েও উন্নতি হয়েছে মিরাজের। আট ধাপ এগিয়ে এসেছেন ৮৮তম স্থানে।
শেষ ওয়ানডে ৯৮ রানের ইনিংস খেলে মাহমুদউল্লাহ এগিয়েছেন ১০ ধাপ। আছেন ৪৪ নম্বরে। সিরিজে না থাকা লিটন তিন ধাপ নেমে ৬৪ নম্বরে পৌঁছেছেন। ছয় ধাপ অবনতি তাওহিদ হৃদয়েরও। তার অবস্থান ৭৬ নম্বরে। আট ধাপ এগিয়ে ৮৫ নম্বরে আছেন সৌম্য সরকার। তবে সাত ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে নেমে গেছেন মুশফিকুর রহিম।
ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন মোহাম্মদ নবী। চার ধাপ এগিয়েছেন মিরাজ আছেন চার নম্বরে।
Comments