গুরবাজ-ওমরজাইয়ের ব্যাটে বাংলাদেশকে সিরিজ হারাল আফগানিস্তান

ছবি: আফগানিস্তান ক্রিকেট

শারজাহতে সোমবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সিরিজ হার

শরিফুল ইসলামের ফুল লেংথ ডেলিভারি ছক্কায় ওড়ালেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বল সীমানার বাইরে পড়তেই গর্জে উঠলেন তিনি। ডাগআউটে থাকা সতীর্থদের দিকে তাকিয়ে করলেন উল্লাস। করবেন না-ই কেন? শারজাহতে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ যে নিজেদের করে নিল আফগানিস্তান।

সোমবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে আফগানরা। ২৪৫ রান তাড়ায় ১০ বল হাতে রেখে তারা পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাঁচে নামা ওমরজাই অপরাজিত থাকেন ৭৭ বলে ৭০ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা। ওমরজাইয়ের আগে আফগানদের কক্ষপথে রাখেন একাধিক জীবন পাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

দুজন চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১০০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। বেঁচে যাওয়ার পুরো ফায়দা তুলে ওপেনার গুরবাজ অনেকটা সময় একপ্রান্ত আগলে খেলেন ১০১ রানের অসাধারণ ইনিংস। ১২০ বল মোকাবিলায় পাঁচটি চার ও সাতটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পরে মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ৪৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করেন ওমরজাই। নবি পাঁচটি চারে ২৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

ব্যাটিংয়ের পর বাংলাদেশের বোলিং আর ফিল্ডিংও প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ করতে পারেনি। অভিষিক্ত তরুণ পেসার নাহিদ রানা গতির পসরা সাজিয়ে ৪০ রানে নেন ২ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে মোস্তাফিজুর রহমানের খরচা ৫০ রান। উইকেট না পেলেও আঁটসাঁট থাকা স্পিনার নাসুম আহমেদ ১০ ওভারে দেন ২৪ রান। শরিফুল ইসলাম ছিলেন বেশ খরুচে। ৮.২ ওভারে ৬১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ওমরজাই। ব্যাট হাতে অবদান রাখার আগে বল হাতে ৪ উইকেট নেন ৩৭ রানে। সিরিজসেরার পুরস্কার গেছে নবির ঝুলিতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৪/৮ (তানজিদ ১৯, সৌম্য ২৪, জাকির ৪, মিরাজ ৬৬, হৃদয় ৭, মাহমুদউল্লাহ ৯৮, জাকের ১, নাসুম ৫, শরিফুল ২*; ফারুকি ০/৪১, গজনফর ০/৪৯, ওমরজাই ৪/৩৭, নবি ১/৩৭, খারোতে ০/৩৫, রশিদ ১/৪০)

আফগানিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ২৪৬/৫ (গুরবাজ ১০১, সেদিকউল্লাহ ১৪, রহমত ৮, শহিদি ৬, ওমরজাই ৭০*, নাইব ১, নবি ৩৪*; শরিফুল ০/৬১, নাহিদ ২/৪০, নাসুম ০/২৪, মোস্তাফিজ ২/৫০, মিরাজ ১/৫৬, সৌম্য ০/১২)।

শেষ ৫ ওভারে ৩৩ রান চাই আফগানদের

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে ছক্কা মারলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাতে সমীকরণ বেশ সহজ হয়ে গেল আফগানিস্তানের জন্য। এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে।

৪৫ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১২ রান। তাদের দরকার বাকি ৩০ বলে ৩৩ রান। সেঞ্চুরি হাঁকানো রহমানউল্লাহ গুরবাজের বিদায়ের পর দলকে জেতানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন ওমরজাই। তিনি খেলছেন ৭০ বলে ৬০ রানে। মোহাম্মদ নবি অপরাজিত আছেন ১৪ বলে ১০ রানে।

৪৪তম ওভারে আফগানিস্তানের দুইশ

শরিফুল ইসলামের করা ৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পূর্ণ হয়ে গেল আফগানিস্তানের দলীয় দুইশ রান।

১৩৬ বলে প্রথম শতরান পেয়েছিল আফগানরা। দ্বিতীয় শতরানের জন্য তাদের লাগল ১২৪ বল।

৪৪ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৫ রান। ক্রিজে ওমরজাই খেলছেন ৬৬ বলে ৫৪ রানে। মোহাম্মদ নবি ১২ বলে ৯ রানে অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ৩৬ বলে ৪০ রান দরকার আফগানিস্তানের।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ওমরজাইয়ের ফিফটি

নাহিদ রানাকে ড্রাইভ করে চার মারলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫৭ বলে ফিফটি তুলে নিলেন তিনি। পাঁচে নামা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা।

৪১ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৯৩। ক্রিজে ওমরজাইয়ের সঙ্গী মোহাম্মদ নবি। জমে ওঠা ম্যাচে ৫৪ বলে ৫২ রান চাই আফগানদের।

গুলবদিনকে টিকতে দিলেন না নাহিদ

৪১তম ওভারে আক্রমণে ফিরেই বাংলাদেশকে আরেকটি সাফল্য এনে দিলেন নাহিদ রানা। তার বল মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দিলেন গুলবদিন নাইব। বেশ সময় নিয়ে বলের নিচে দাঁড়ালেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক। শঙ্কা জাগলেও শেষমেশ ঠিকঠাক ক্যাচ লুফে নিলেন তিনি।

স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও গুলবদিনের উইকেট হারাল আফগানিস্তান। ৫ বলে ১ রানে বিদায় নিলেন গুলবদিন। দলীয় ১৮৮ রানে পড়ল আফগানদের পঞ্চম উইকেট। ক্রিজে থিতু থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গী হলেন মোহাম্মদ নবি।

দ্রুত ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, জয়ের জন্য আফগানদের দরকার ৫৮ বলে ৫৭ রান। তাদের হাতে আছে আরও ৫ উইকেট।

গুরবাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু দিলেন মিরাজ

৩৯তম ওভারে নতুন স্পেল করতে এলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কাঙ্ক্ষিত উইকেট পাওয়ার জন্য নিজেই বল হাতে তুলে নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলও মিলল হাতেনাতে। সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে অবশেষে সাজঘরে পাঠালেন তিনি।

ওভারের চতুর্থ বলটি পুল করেছিলেন গুরবাজ। উদ্দেশ্য ছিল তা সীমানার বাইরে পাঠানো। তবে বল চলে গেল ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডিংয়ে থাকা জাকির হাসানের হাতে। টাইগাররা পেল ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা।

গুরবাজ আউট হলেন পাঁচটি চার ও সাতটি ছক্কায় ১২০ বলে ১০১ রান করে। ভাঙল আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে তার ১১১ বলে ঠিক ১০০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

৩৯ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৪ রান। জয়ের জন্য ৬৬ বলে ৬১ রান দরকার তাদের। ক্রিজে ওমরজাইয়ের সঙ্গী হলেন নতুন ব্যাটার গুলবদিন নাইব।

সেঞ্চুরি তুলে নিলেন গুরবাজ

জুটি ভাঙার কোনো উপায় না পেয়ে ৩৮তম ওভারে সৌম্য সরকারকে আক্রমণে আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু লাভ হলো না। তৃতীয় ডেলিভারিতে সৌম্যের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এক বল পর সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেললেন তিনি।

একবার ক্যাচ ও একবার স্টাম্পিং থেকে বেঁচে যাওয়া আগফগান ওপেনারের এটি ৪৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে অষ্টম শতরান। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয়, শারজাহতে তৃতীয়। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১১৭ বলে তিন অঙ্কে গেলেন তিনি। তার অসাধারণ ইনিংসে চার পাঁচটি ও ছক্কা সাতটি।

৩৮ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১৮২ রান। গুরবাজ ১১৭ বলে ১০০ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৫০ বলে ৪৩ রানে খেলছেন। তাদের জুটিতে ভীষণ চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।

গুরবাজ-ওমরজাইয়ের জুটিতে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে আফগানিস্তান

রহমানউল্লাহ গুরবাজ শুরু থেকেই সাবলীল খেলে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

এই দুজনের জুটিতে ২৪৫ রানের লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে আফগানিস্তান। ৩২ ওভার পর তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৪ রান। ম্যাচ জিততে আরও ১০১ রান করতে হবে আফগানদের। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট।

গুরবাজ-ওমরজাইয়ের জুটির পঞ্চাশ

হাশমতউল্লাহ শহিদির বিদায়ের পর দ্রুত রান তোলার কৌশল বেছে নিয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে চলেছেন তারা। তাদের চতুর্থ উইকেট জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হলো ঠিক ৫০ বলে।

বিশেষ করে, সতীর্থের আসা-যাওয়ার মাঝে অবিচল থাকা গুরবাজকে ঠেকানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সুযোগ পেলেই বাউন্ডারি আনছেন দুবার জীবন পাওয়া আফগান ওপেনার। এখন পর্যন্ত সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ওমরজাইও ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছেন।

২৯ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১৩৬। ক্রিজে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে গুরবাজ অপরাজিত আছেন ৯১ বলে ৮০ রানে। ওমরজাই খেলছেন ২২ বলে ১৮ রানে।

২৩তম ওভারে আফগানিস্তানের একশ

শুরুতে এলোমেলো বোলিংয়ে খরুচে তিন ওভারের পর শরিফুল ইসলাম আক্রমণে ফিরলেন ২৩তম ওভারে। তার চতুর্থ বলটিতে জায়গা বানিয়ে পয়েন্টে থাকা ফিল্ডারের ওপর দিয়ে চার মারলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। স্কোরবোর্ডে পূরণ হয়ে গেল আফগানিস্তানের একশ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও ওপেনিংয়ে নামা গুরবাজ একাই টানছেন দলকে। তিনি খেলছেন ৭০ বলে ৬০ রানে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই অপরাজিত আছেন ৭ বলে ৪ রানে।

২৩ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০০ রান। জয়ের জন্য ২৭ ওভারে আরও ১৪৫ রান দরকার তাদের। অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭ উইকেট।

কঠিন সুযোগ হাতছাড়ায় ফের বাঁচলেন গুরবাজ

অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। টার্নে পরাস্ত হলেন তিনি। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে চলে গেল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে।

ওয়াইড বলে স্টাম্পিংয়ের কঠিন সুযোগ এলো উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিকের সামনে। কিন্তু বাঁদিকে সরেও নিচু হওয়া বল ধরতে পারলেন না তিনি। তাই ফের বেঁচে গেলেন বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠা গুরবাজ। এবার ৫৬ রানে। এর আগে ২৪ রানে থাকাকালীন তার দুরূহ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন।

২২ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৯৫। ক্রিজে ওপেনার গুরবাজ ৬৬ বলে ৫৬ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৫ বলে ৩ রানে খেলছেন।

সৌম্যের দারুণ ক্যাচে আউট শহিদি

চলতি সিরিজের তিন ম্যাচেই আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে আউট করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে যাওয়া বল দারুণ দক্ষতায় নিচু হয়ে লুফে নিলেন সৌম্য সরকার।

হাঁসফাঁস করতে থাকা শহিদি ফিরলেন ২১তম ওভারের প্রথম বলে। তার সংগ্রহ ২১ বলে ৬ রান। কোনো চার বা ছক্কা মারতে পারলেন না তিনি। মোস্তাফিজ ধরলেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় শিকার।

আফগানদের তৃতীয় উইকেট পড়ল ৮৪ রানে। ক্রিজে একপ্রান্ত আগলে থাকা ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ খেলছেন ৬০ বলে ৫০ রানে। তার নতুন সঙ্গী হলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

জীবন পেয়ে গুরবাজের ফিফটি

আগের দুই ওয়ানডেতে দ্রুত আউট হওয়া ডানহাতি ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এদিন হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ। তার ব্যাটে চড়ে এগোচ্ছে আফগানিস্তান।

জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে ফিফটি গুরবাজ করলেন ৬০ বলে। তার ইনিংসে চার দুটি ও ছক্কা চারটি। ২০তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছালেন তিনি। এর আগে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে জীবন পেয়েছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তখন তিনি খেলছিলেন ২৪ রানে। পয়েন্টে তার দুরূহ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন।

২০ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৪ রান। গুরবাজ ৬০ বলে ৫০ ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ২০ বলে ৬ রানে অপরাজিত আছেন।

রহমতকে বিদায় করলেন মোস্তাফিজ

ক্রিজে গিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন রহমত শাহ। তাকে থিতু হতে দিলেন না মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের বলে নিজেই নিলেন ক্যাচ।

বাঁহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারি রহমতের ধারণার চেয়ে দ্রুত এলো ব্যাটে। পুল করার চেষ্টায় টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেললেন তিনি। অনেক উঁচুতে ওঠা বল লুফে নিলেন মোস্তাফিজ। তার আগের ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজের দুরূহ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন।

১৪তম ওভারের শেষ বলে ৬৩ রানে আফগানিস্তান হারাল দ্বিতীয় উইকেট। রহমত ২২ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া রহমতের রান ৮। ক্রিজে গুরবাজের সঙ্গী হলেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।

জীবন পেয়ে গুরবাজের ছক্কা

দ্বাদশ ওভারে আক্রমণে এলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার অল্পের জন্য পেলেন না উইকেট। পঞ্চম ডেলিভারিতে পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু সামনে পুরোপুরি ঝাঁপিয়ে পড়লেও বল হাতে রাখতে পারলেন না বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন।

২৪ রানে জীবন পাওয়া ওপেনার গুরবাজ পরের বলে ফাইন লেগ দিয়ে মারলেন ছক্কা। তিনি খেলছেন ৩৭ বলে ৩০ রানে। অন্যপ্রান্তে তিনে নামা রহমত শাহর সংগ্রহ ১৭ বলে ৬ রান। ১২ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ৫৬।

১০ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৫ রান

লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু পেয়েছে আফগানিস্তান। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৫ রান।

দুর্দান্ত বল করতে থাকা নাহিদ রানার শিকার হয়ে সেদিকউল্লাহ অটল বিদায় নিয়েছেন। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৯ বলে ২২ ও রহমত শাহ ১৩ বলে ৩ রানে ক্রিজে আছেন। 

ওয়ানডেতে নাহিদের প্রথম উইকেট

অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা গতিময় পেসার নাহিদ রানা বাংলাদেশকে এনে দিলেন প্রথম সাফল্য। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে ভেঙে দিলেন আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সেদিকউল্লাহ অটলকে বোল্ড করে ২২ বছর বয়সী তরুণ পেলেন এই সংস্করণে প্রথম উইকেটের স্বাদ।

১৪৭.৯ কিলোমিটার গতির ডেলিভারিটি ছিল ভালো লেংথের। ব্যাটের ফাঁক গলে ভেতরে ঢুকে তা উপড়ে ফেলল স্টাম্প। মূলত গতিতে পরাস্ত হলেন সেদিকউল্লাহ। এর আগে ওভারের দ্বিতীয় বলটি নাহিদ করেছিলেন ১৫০.৯ কিলোমিটার গতিতে।

৪১ রানে প্রথম উইকেট হারাল আফগানরা। বাঁহাতি সেদিকউল্লাহ বিদায় নিলেন ১৮ বলে ১৪ রানে। ক্রিজে আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের নতুন সঙ্গী রহমত শাহ।

সপ্তম ওভারে আক্রমণে স্পিনার

দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা মিলে দুই প্রান্ত থেকে ছয় ওভার করলেন। এরপর বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি শরিফুলের জায়গায় বল তুলে দিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের হাতে।

অভিষিক্ত ডানহাতি পেসার নাহিদ গতির ঝড় তুলে আছেন আঁটসাঁট। একটি মেডেনসহ তিন ওভারে ৬ রান দিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম অবশ্য সুবিধা করতে পারছেন না। তার ওপর চড়াও হয়েছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ অটল। তার তিন ওভারে এসেছে ২৪ রান।

সাত ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৮ রান। গুরবাজ ২৭ বলে ২১ ও সেদিকউল্লাহ ১৫ বলে ১৩ রানে খেলছেন। আফগানদের ভালো শুরুর বিপরীতে বাংলাদেশ রয়েছে উইকেটের খোঁজে।

মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে লড়াইয়ে পুঁজি বাংলাদেশের

দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনাই পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ফিফটির পর মাত্র ১২ বলের ব্যবধানে বিদায় নেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। দলীয় ৭২ রানে হারায় আরও একটি। এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ। গড়েন ১৪৫ রানের জুটি। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ২৪৪ রান করে টাইগাররা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৪/৮ (তানজিদ ১৯, সৌম্য ২৪, জাকির ৪, মিরাজ ৬৬, তাওহিদ ৭, মাহমুদউল্লাহ ৯৮, জাকের ১, নাসুম ৫, শরিফুল ২*; ফারুকি ০/৪১, গাজানফার ০/৪৯, ওমরজাই ৪/৩৭, নবি ১/৩৭, খারোতে ০/৩৫, রশিদ ১/৪০)।  

দুই রানের আক্ষেপ নিয়ে শেষ বলে রানআউট মাহমুদউল্লাহ

শেষ ওভারে সেঞ্চুরি থেকে চার রান দূরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সে ওভারে তিনবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিন অঙ্ক স্পর্শের। কিন্তু হয়েও হলো না। দারুণ বোলিং করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াইয়ের পুঁজি। শেষ পর্যন্ত ৯৮ রানে আউট হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সমান ৯৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

ওমরজাইয়ের স্লোয়ারে বোল্ড নাসুম

শেষ ওভারে রানের গতি বাড়ানোর তাগিদে সপাটে ব্যাট চালিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। তবে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে লাইন মিস করে হয়ে গেলেন বোল্ড। তাতে ৫ রানেই শেষ হয় নাসুমের ইনিংস। অপর প্রান্তে অপরাজিত রয়েছেন সেঞ্চুরির দ্বারে থাকা মাহমুদউল্লাহ।

মিরাজের বিদায়ে ভাঙল জুটি

চাপের মুখে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক পুঁজির কাছে এনে বিদায় নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভাঙে ১৪৫ রানের জুটি।

বেশ মন্থর গতিতে ব্যাটিং করলেও শেষ দিকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন মিরাজ। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ৪৬তম ওভারের প্রথম দুই বল থেকে দুটি বাউন্ডারি আদায় করে নেন। শেষ বলে মারতে গেলেন আরও একটি। তবে টাইমিংয়ের হেরফের করে আকাশে তুলে দেন তিনি। সেই ক্যাচ ধরে নিয়েছেন গুলবাদিন নাইব। শেষ পর্যন্ত ১১৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৬৬ রান করেন মিরাজ।

৪৬ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২১৭ রান করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৮২ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন জাকের আলী।  

বাংলাদেশের দলীয় দুইশ

দারুণ ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুইজনই পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। জুটিও পেরিয়েছে শতরান। তাদের জুটিতে ভর করে দলও পারি দিয়েছে দুইশ রানের কোটা। ৪৪.৪ ওভারে আসে দলের দ্বিশতক।

৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৫ রান। মিরাজ ৫৭ ও মাহমুদউল্লাহ ৭৯ রানে ব্যাটিং করছেন।  

হাফসেঞ্চুরি পেলেন মিরাজও

নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাইলফলকের ম্যাচে শুরু থেকেই বেশ চাপে ছিলেন তিনি। বেশ মন্থর গতিতে দেখে শুনে ব্যাটিং করছেন। ব্যক্তিগত পঞ্চাশ ছুঁতে খেলেছেন ১০৬টি বল। যেখানে বাউন্ডারি ২টি।

বাংলাদেশের পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে হাফসেঞ্চুরি করলেন মিরাজ। আর নিজের শততম ওয়ানডেতে ফিফটি পাওয়া তৃতীয় বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার।

একই সঙ্গে চাপের মুখে ইনিংস মেরামত করে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ প্রতিরোধ গড়েন মিরাজ। একই ওভারে দুই জনের জুটিতেও আসে শতরান। দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে জুটির একশ রান পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ।

৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৫ রান। মাহমুদউল্লাহ ৫৮ ও মিরাজ ৫০ রানে ব্যাটিং করছেন।  

মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরি

সবশেষ চার ইনিংসে মাত্র ৬ রান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এদিন যখন ব্যাটিংয়ে নামেন দলীয় ৭২ রানেই তখন চার উইকেট নেই বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে বেশ চাপেই ছিলেন। এমন অবস্থায় দারুণ প্রতিরোধ গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে। নিজেও তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৬৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। যে পথে চারটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি পেলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

৪০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান বাংলাদেশের, মাহমুদউল্লাহ ৫১ ও মিরাজ ৪৯ রানে ব্যাটিং করছেন। 

মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর জুটির পঞ্চাশ

১৯ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এরমধ্যেই পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন এ দুই ব্যাটার। ৭৭ বলে এসেছে তাদের জুটির ফিফটি।

২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৫ রান। মিরাজ ৩৫ ও মাহমুদউল্লাহ ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন।

বাংলাদেশের দলীয় শতক

দারুণ শুরুর পর ১৯ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। এরপর অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরমধ্যেই পূরণ করেছেন দলীয় শতক। ২৩.২ ওভারে এসেছে বাংলাদেশ দলের একশ।

২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৫ রান। মিরাজ ২৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে ব্যাটিং করছেন।

তাওহিদের বিদায়ে বড় চাপে বাংলাদেশ

বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেন রশিদ খানও। বিদায় করেছেন তাওহিদ হৃদয়কে। রশিদের কিছুটা খাট লেন্থের বলে ঠিক কি করতে চেয়েছিলেন নিজেও হয়তো জানতেন না তাওহিদ। শেষ মুহূর্তে পেছনে পায়ে ভর করে ডিফেন্স করতে যান। বলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো গুলবাদিন নাইবের হাতে। ১৪ বলে ৭ রান করেন তাওহিদ। 

১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭৩ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ১ রানে।

এবার রানআউট জাকির

১২ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের। অথচ দুই ওভার আগেও শিরোনাম ছিল, 'বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা।' দুই ওপেনারের বিদায়ের পর এবার বিদায় নিয়েছেন জাকির হাসান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ডেলিভারিতে মেহেদী হাসান মিরাজ ডিফেন্স করলে পয়েন্টে চলে যায় বল। প্রথমে রান নিতে চেয়ে ওড়ে মত বদলান। ততক্ষণে উইকেটের প্রায় মাঝপথে চলে আসেন জাকির হাসান। দারুণ এক থ্রোতে তাকে বিদায় করেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। ৭ বলে ৪ রান করেন জাকির।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬১ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় ব্যাট করছেন ২ রানে।

সৌম্যর পর ফিরে গেলেন তানজিদও

বল হাতে নিয়েই সাফল্য পেলেন মোহাম্মদ নবি। তার ফুলার লেন্থের বলে কভার-পয়েন্টের উপর দিয়ে ড্রাইভ করে বাউন্ডারি আদায় করে নিতে চেয়েছিলেন তানজিদ হাসান। তবে ধরা পড়েছেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদির হাতে। এর আগে তানজিদের একটি দুরূহ ক্যাচ মিস করেছেন আফগান অধিনায়ক। এবার আর কোনো ভুল হয়নি। আগের ওভারেই সৌম্য সরকারকে তুলে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ফলে দুই ওপেনারই দ্রুত সময়ে বিদায় নিল বাংলাদেশের।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৮ রান। জাকির হাসান ৪ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল জুটি

শুরু থেকেই কী দারুণ ব্যাটিং করছিলেন সৌম্য সরকার। দারুণ সব শটে রানও তুলছিলেন দ্রুত। তবে কিছুটা অলস শটে বিদায় নিয়েছেন এই ওপেনার। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অফস্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ২৩ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন সৌম্য।

৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৩ রান। তানজিদ হাসান ১৯ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন জাকির হাসান।

বাংলাদেশের দলীয় ফিফটি

দারুণ ব্যাটিং করছেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। তানজিদ শুরুতে কিছুটা সংগ্রাম করলেও শুরু থেকেই সাবলীল সৌম্য। তবে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়েছেন তানজিদও। দুই ব্যাটারের ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছেন। এরমধ্যেই দলীয় ফিফটি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৮.১ ওভারে আসে বাংলাদেশের দলীয় পঞ্চাশ।

বাংলাদেশের সাবধানী শুরু

দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে শুরুটা বেশ ভালো করেছে বাংলাদেশ। যদিও এরমধ্যেই দুইটি জীবন পেয়েছেন তানজিদ। শুরুতে কিছুটা সেকি থাকলেও ধীরে ধীরে সাবলীল ব্যাটিং করতে শুরু করেছেন এই ব্যাটার। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার কিছুটা আগ্রাসী ভূমিকায় নেমেছেন।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৭ রান। সৌম্য সরকার ১৭ ও তানজিদ হাসান ১০ রানে ব্যাটিং করছেন।

জীবন পেলেন তানজিদ

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে বল রেখেছিলেন ফজলহক ফারুকি। ছেড়ে দিলে অনায়াসে ওয়াইড হতো। কিন্তু সেই বল খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গেলে বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো গুলবাদিন নাইবের হাতে। এ সময় রানের খাতা খুলতে পারেননি তানজিদ।

৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২ রান। সৌম্য সরকার ৮ ও তানজিদ হাসান ১ রানে ব্যাটিং করছেন।

অধিনায়ক হয়ে শততম ওয়ানডে খেলতে নামছেন মিরাজ

সাদা জার্সিতে অভিষেকের বছর খানেক পর ওয়ানডে সংস্করণে অভিষেক হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের। ২০১৭ সালে প্রথমবার সুযোগ পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৯৯টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন এই অলরাউন্ডার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে খেলতে নামছেন ১০০তম ম্যাচে। সৌভাগ্যক্রমে এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মিরাজ। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কুঁচকির চোটে পড়ায় নেতৃত্বের দায়িত্ব পড়েছে তার কাঁধে।

আফগানিস্তানের একাদশ অপরিবর্তিত

আবারও একই একাদশ নিয়ে খেলতে নেমেছে আফগানিস্তান। প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেছিল তারা। তৃতীয় ম্যাচেও সেই একাদশ নিয়েই খেলতে নামছে হাশমতউল্লাহ শহিদির দল।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ অটল, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর, নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে, ফজলহক ফারুকি।

নাহিদের অভিষেক, বাংলাদেশ দলে দুই পরিবর্তন

নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে যাওয়ায় একটি পরিবর্তন অনুমিতই ছিল বাংলাদেশের জন্য। শান্তর পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকির হাসান। স্কোয়াডে একমাত্র ব্যাটার ছিলেন তিনিই। তবে পেসার তাসকিন আহমেদকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন আরেক পেসার নাহিদ রানা। ১৪৯তম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডে ক্যাপ পেলেন এই পেসার।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

অলিখিত ফাইনালের শুরুটা ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। টস জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের অস্থায়ী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং। অর্থাৎ। আগে ফিল্ডিং করবে আফগানিস্তান। সবশেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিং নিয়ে জয় পেয়েছিল টাইগাররা।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেই শান্ত

প্রথম ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ জয় তুলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। তবে সেই ম্যাচের শেষ দিকে ফিল্ডিংয়ের সময়ে কুঁচকিতে চোট পান শান্ত। যে কারণে শেষ ওয়ানডে তো বটেই ছিটকে গিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেও। তার পরিবর্তে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পড়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

11h ago