পেসারদের দাপটে ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান
আবারও জ্বলে উঠলেন পাকিস্তানি পেসাররা। শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফদের তোপে অল্প রানে গুটিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ওপেনারদের দায়িত্বশীলতায় সেই রান টপকে অনায়াসে জিতল পাকিস্তান।
রোববার পার্থে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিং পেয়ে মাত্র ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা সহজ লক্ষ্য ২৬.৫ ওভারে পেরিয়ে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। ২০০২ সালের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা।
দলের জয়ের ভিত তৈরি করে দিতে ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন শাহীন, ৫৪ রানে ৩ শিকার ধরেন নাসিম। সিরিজ জুড়ে দারুণ বল করা গতিময় পেসার হারিস ২৪ রানে পান ২ উইকেট। ১ উইকেট নেন আরেক পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন।
এই সিরিজে টসই গড়ে দিচ্ছিলো যেন ম্যাচের ফল। মেলবোর্নে প্রথম ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে ২০৩ রানে আটকে ২ উইকেটে জিতেছিল স্বাগতিক দল। পরের দুই ম্যাচেই টস ভাগ্য পক্ষে গেল পাকিস্তানের, ম্যাচও তাদের। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ম্যাচে অজিদের ১৬৩ রানে আটকে ৯ উইকেটে জেতার পর শেষ ম্যাচেই দেখা গেল একই চিত্র।
সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচটিতে অবশ্য ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত কয়েকজন তারকা। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, স্টিভেন স্মিথ, মারনাশ লাবুশানে, মিচেল স্টার্কদের দলটি বিশ্রাম দেয় ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ মাথায় রেখে।
১৪১ রানের মামুলি লক্ষ্যে নেমে দুই পাক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব আনেন দারুণ শুরু। সহজে রান বাড়িয়ে দলকে জেতার দিকে নিয়ে যান তারা। দলের ৮৪ রানে গিয়ে পড়ে প্রথম উইকেট। ল্যান্স মরিসের বলে ৫৩ বলে ৩৭ করে ফেরেন শফিক।৫২ বলে ৪২ করে খানিক পর সাইমও শিকার হন মরিসের। ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাকি কাজ সারেন রিজওয়ান-বাবর আজম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগ্রুককে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু শর্ট এক পাশে থাকলেও অ্যারন হার্ডি, জস ইংলিসরা ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। ৩০ বলে ২২ করা শর্ট ছাড়া প্রথম সাত ব্যাটারের কেউই থিতু হতে পারেননি। ৮৮ রানেই ৬ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে পরে টানেন শন অ্যাবট। ৪১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। তবে তাতেও দেড়শো ছুঁতে পারেনি তারা। এত অল্প রান নিয়ে লড়াই করা বাস্তব ছিলো না, লড়াই তাই জমেওনি। প্রথমবার অধিনায়কত্ব পেয়েই সিরিজ জয়ের আনন্দে মাতেন রিজওয়ান।
Comments