প্রথম ওয়ানডে

হতশ্রী ব্যাটিংয়ে বিশাল হার বাংলাদেশের

ছবি: আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড

মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে হয়েছিল জয় পেতে খুব সমস্যা হবে না বাংলাদেশের। দুই উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তুলেছিল দলটি। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ২৩ রান যোগ হতেই অলআউট বাংলাদেশ। যেন উইকেট বিলিয়ে কে কার আগে সাজঘরে যাবেন, সেই প্রতিযোগিতায় নামেন টাইগার ব্যাটাররা। ফলাফল ৯২ রানে হার।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমকে হারালেও সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি গড়ে ভালো সুচনায় আনেন অধিনায়ক। এরপর মিরাজের সঙ্গে আরও একটি জুটি। দারুণ সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ঠিক তার মতো করেই আউট হয়ে যান মিরাজও। তারই খেসারৎ দেয় টাইগাররা।

দুই সেট ব্যাটারের বিদায়ের পর যেন মড়ক ধরে ব্যাটিং লাইনআপে। একের পর এক ব্যাটার আউট হন কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখা আল্লাহ মোহাম্মদ গাজাম্ফরের বলে। একাই ছয় উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। তার একের পর এক ক্যারম বলে বিধ্বস্ত হন টাইগাররা। গুগলির ভেলকি দেখান রশিদ খানও। তাতেই শেষ বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ (গুরবাজ ৫, সেদিকউল্লাহ ২১, রহমাত ২, শহিদি ৫২, ওমরজাই ০, নাইব ২২, নবি ৮৪, রশিদ ১০, খারোতে ২৭*, গজনফর ০, ফারুকি ০; শরিফুল ১/৩৪, তাসকিন ৪/৫৩, মোস্তাফিজ ৪/৫৮, মিরাজ ০/৩০, রিশাদ ০/৪৪, মাহমুদউল্লাহ ০/১১)।

বাংলাদেশ: ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ (তানজিদ ৩, সৌম্য ৩৩, শান্ত ৪৭, মিরাজ ২৮, হৃদয় ১১, মাহমুদউল্লাহ ২, মুশফিক ১, রিশাদ ১, তাসকিন ০, শরিফুল ১, মুস্তাফিজ ৩*; ফারুকি ০/২২, গাজানফর ৬/২৬, নাবি ১/২৩, ওমারজাই ১/১৬, নাইব ০/৯, রাশিদ ২/২৮, খারোটে ০/১৬)।

ফলাফল: আফগানিস্তান ৯২ রানে জয়ী।

রশিদের বলে বোল্ড তাওহিদ

লেজ বেরিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের শেষ ভরসা ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু হতাশ করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর মতো তিনিও পারেন নি রশিদ খানের গুগলি বুঝতে। প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে গেলে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের আশা। ২১ বলে ১১ রান করেন তাওহিদ।

তাসকিনকে ফিরিয়ে ফাইফার গাজানফরের

আরও একটি ক্যারম বল গাজানফরের। আরও একটি উইকেট। এবার বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদকে। পূরণ করেন নিজের ফাইফার। তার অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বল স্পিন করে ভেতরে ঢোকার মুখে ডিফেন্স করেছিলেন তাসকিন। কিন্তু লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।   

বিপদ বাড়িয়ে আউট রিশাদও

অভিজ্ঞ দুই ব্যাটারের দ্রুত বিপদে বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেই বিপদ আরও বাড়িয়েছেন রিশাদ হোসেন। গাজানফরের আরও একটি ক্যারম বল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে প্যাডে লাগে তার। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছিলেন রিশাদ। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে বিদায় নিতে হয় তাকে।

মুশফিকের বিদায়ে বড় বিপদে বাংলাদেশ

দুই সেট ব্যাটারের বিদায়ের পর হতাশ করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল আরেক অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহিমের দিকে। কিন্তু আরও বড় হতাশা উপহার দিয়েছেন তিনি। গাজানফরের আরও একটি ক্যারম বলে পড়েছেন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। ৩ বলে ১ রান করেন তিনি।

গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড মাহমুদউল্লাহ

দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে হঠাৎ চাপে পরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর কাছে দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করেছিল টাইগাররা। কিন্তু হতাশ করেছেন তিনি। রশিদ খানের গুগলি বুঝতেই পারেননি। অফস্টাম্পের বাইরে থেকে টার্ন করে ভেতরে ঢুকলে বোল্ড যান এই ব্যাটার। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি।

৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৮ রান। তাওহিদ ১০ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।

শান্তর পর ফিরলেন মিরাজও

অধিনায়ক শান্ত ফিরে যাওয়ার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজও। তিনিও আউট হয়েছেন সুইপ করতে গিয়ে। গাজানফরের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা ক্যারম বল খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে হেরফের করে ফেলেন মিরাজ। টপঅজ হয়ে ফাইন লেগে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। বেশ খানিকটা দৌড়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন তিনি। ৫১ বলে ২৮ রান করেন মিরাজ।

৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৩ রান। তাওহিদ ৯ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

শান্তকে বিদায় করে জুটি ভাঙলেন নবি

উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঝে মধ্যেইবাউন্ডারি মেরে রানের গতিও সচল রাখছিলেন। ক্যাচের আশায় তাই দুটি স্লিপ রাখেন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি। সেটা মাথায় রেখেই হয়তো শান্ত সুইপ করতে গেলেন মোহাম্মদ নবিকে। টপএজ হয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন আফগান অধিনায়কের হাতেই। যদিও প্রথম দফায় ধরতে পারেননি। পারেননি দ্বিতীয় দফাতেও। তৃতীয় দফায় ক্যাচ লুফে নেন শাহিদি। ৬৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন শান্ত।

২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২১ রান। মিরাজ ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নামেন তাওহিদ হৃদয়।

শান্ত-মিরাজের জুটির ফিফটি

জীবন পেয়েছেন দুই ব্যাটারই। তবে সেই জীবন সঠিক ব্যবহারও করছেন তারা। জমে উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। এরমধ্যেই তাদের জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ রান। ৬৯ বলে আসে তাদের জুটির পঞ্চাশ।

২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৫ রান। শান্ত ৪৫ ও মিরাজ ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন।

বাংলাদেশের দলীয় শতক

সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫ রানের জুটিও গড়েন তারা। সেই পথে আসে দলীয় শতকও। মোহাম্মদ নবির বলে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারি মেরে দলীয় শতক পূরণ করেন শান্ত।

২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০১ রান। শান্ত ৪২ ও মিরাজ ১৪ রানে ব্যাটিং করছেন।

দ্বিতীয় রিভিউও নষ্ট করল আফগানিস্তান

আরও একটি ব্যর্থ রিভিউতে নিজেদের দ্বিতীয় রিভিউও নষ্ট করল আফগানিস্তান। রশিদ খানের বলটি লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে ছিল। ব্যাক ফুটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে প্যাডে লাগে শান্তর। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। ফলে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হয় তারা। বল আউটসাইড লেগে পিচ করায় বাতিল হয় তাদের আবেদন।

শান্তর পর জীবন পেলেন মিরাজও

কিছুটা দুর্ভাগা নিজেকে ভাবতে পারেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। আগের ওভারেই জীবন পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার জীবন পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে এবার স্বাভাবিক ক্যাচই দিয়েছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু তালুবন্দি করতে পারেননি মোহাম্মদ নবি। এ সময় ১ রানে ব্যাটিং করছিলেন মিরাজ।

১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৮ রান। শান্ত ২৩ ও মিরাজ ২ রানে ব্যাটিং করছেন।

সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল জুটি

অধিনায়কের সঙ্গে জুটিটি ক্রমেই জমে উঠেছিল সৌম্য সরকারের। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের রানের গতিও বাড়াচ্ছিলেন দ্রুত। তবে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বাউন্সারে ধরাসয়ি হয়েছেন তিনি। তার শর্ট বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করতে চেয়েছিলেন। ফাইন-লেগ সীমানায় ফজলহক ফারুকির ক্যাচে পরিণত হন সৌম্য। ৪৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেন তিনি।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৫ রান। শান্ত ২২ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আফগানিস্তানের ব্যর্থ রিভিউ

একেবারেই অহেতুক আবেদনে রিভিউ নষ্ট করল আফগানিস্তান। লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে বল ফেলেছিলেন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই। অ্যাঙ্গেলের কারণে বল স্টাম্পে লাগবে মনে হওয়ায় আবেদন করে আফগানরা। আম্পায়ার সাড়া না দিলে শেষ পর্যন্ত রিভিউও নেয় তারা। তবে কোনো লাভ হয়নি।

জীবন পেলেন শান্ত

আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে পেছনের দিকে দৌড়ে সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি আফগান উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এ সময়ে ২২ রানে ব্যাটিং করছিলেন শান্ত।

সৌম্য-শান্তর জুটির ফিফটি

শুরুতেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে হারানোর পর সৌম্য সরকারের সঙ্গে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ ব্যাটিং করে এরমধ্যেই জুটির ফিফটি তুলে নিয়েছেন তারা। গুলবাদিন নাইবের বলে এক পা বেরিয়ে লংঅফ সীমানা দিয়ে চার আদায় করে জুটির পঞ্চাশ রানের জুটি পূরণ করেন শান্ত।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৩ রান। শান্ত ২১ ও সৌম্য ৩৩ রানে ব্যাটিং করছেন।

গাজানফরের ঘূর্ণিতে বোল্ড তানজিদ

আল্লাহ মোহাম্মাদ গাজানফরের ক্যারম বলটি কিছুটা নিচু হয়েছিল। ডিফেন্স করতেই চেয়েছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান। কিন্তু বলের গতি ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গোলে আঘাত হানে মিডল স্টাম্পে। ভাঙে টাইগারদের ওপেনিং জুটি। ৫ বলে ৩ রান করেন তানজিদ।

৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২ রান। সৌম্য সরকার ৭ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিল আফগানিস্তান

দারুণ বোলিংয়ে ২০ ওভারের মধ্যে আফগানিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। প্রতিরোধ গড়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়লেন মোহাম্মদ নবি ও হাশমতউল্লাহ শহিদি। দুজনই তুলে নিলেন ফিফটি। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে শেষদিকে ফের দ্যুতি ছড়ালেন মোস্তাফিজ ও তাসকিন। ৪৯.৪ ওভারে আফগানদের ২৩৫ রানে অলআউট করে দিল টাইগাররা।

নবি ৭৯ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন ৩ চার ও ৪ ছক্কায়। অধিনায়ক শহিদির ব্যাট থেকে আসে ২ চারে ৯২ বলে ৫২ রান। শেষদিকে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে ২৮ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ২ চার ও ১ ছক্কায়।

বাংলাদেশের পক্ষে ডানহাতি পেসার তাসকিন ১০ ওভারে ৪ উইকেট নেন ৫৩ রানে। বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ সমান সংখ্যক উইকেট দখল করেন ১০ ওভারে ৫৮ রান খরচায়। ১ উইকেট পেলেও আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ছিলেন ভীষণ আঁটসাঁট। তিনি ৯.৪ ওভারে দেন ৩৪ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ (গুরবাজ ৫, সেদিকউল্লাহ ২১, রহমাত ২, শহিদি ৫২, ওমরজাই ০, নাইব ২২, নবি ৮৪, রশিদ ১০, খারোতে ২৭*, গজনফর ০, ফারুকি ০; শরিফুল ১/৩৪, তাসকিন ৪/৫৩, মোস্তাফিজ ৪/৫৮, মিরাজ ০/৩০, রিশাদ ০/৪৪, মাহমুদউল্লাহ ০/১১)।

রানআউট ফারুকি, অলআউট আফগানরা

ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউট হলেন নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ফজলহক ফারুকি। ডাবল নিতে গিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের থ্রোতে বল ধরে স্টাম্প ভাঙলেন শরিফুল ইসলাম। তাতে অলআউট হয়ে গেল আফগানিস্তান। ২ বল খেলা ফারুকি শূন্য রানে বিদায় নিলেন।

নবিকে থামানোর পর গজনফরকেও ফেরালেন তাসকিন

ইনিংসের ৪৮তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার করতে গেলেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় ও চতুর্থ ডেলিভারিতে তিনি ধরলেন জোড়া শিকার। আফগানিস্তানের হয়ে লড়াই করতে থাকা মোহাম্মদ নবির দারুণ ইনিংস থামালেন শর্ট বলে। ঠিক পরের বলে বোল্ড হলেন আল্লাহ গজনফর।

৭৯ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় নবির সংগ্রহ ৮৪ রান। তাকে সেঞ্চুরিবঞ্চিত করলেন তাসকিন। গজনফর ১ বল খেলে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ নিলেন।

হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও পূর্ণতা দিতে পারলেন না তাসকিন। হ্যাটট্রিক বলটি ঠেকিয়ে দিলেন ফজলহক ফারুকি। এরপর ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন ফারুকি।

৪৮ ওভারে আফগানদের রান ৯ উইকেটে ২১৯ রান। ক্রিজে আছেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে ও ফজলহক ফারুকি।

৪৬তম ওভারে আফগানিস্তানের ২০০

২৬তম ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করা আফগানিস্তানের দুইশ হলো ৪৬তম ওভারে। তবে বাংলাদেশ তুলে নিতে পেরেছে ৭ উইকেট। বাকি ওভারগুলোতেও নিয়ন্ত্রিত বল করার লক্ষ্য থাকবে তাদের।

৪৬ ওভারে আফগানদের রান ৭ উইকেটে ২০০। মোহাম্মদ নবি ৭৬ বলে ৭৭ ও নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে ১২ বলে ২ রানে ক্রিজে আছেন।

উইকেট শিকারে যোগ দিলেন শরিফুল

দারুণ বল করেও উইকেট পাচ্ছিলেন না বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তার অপেক্ষার অবসান হলো রশিদ খানকে বিদায় করে। দ্রুত রান আনার চিন্তায় থাকা রশিদ শর্ট বল পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিলেন মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে।

১১ বলে রশিদের রান ১০। ৪৩ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৮৯ রান। ক্রিজে মোহাম্মদ নবি ৬৮ বলে ৭০ রানে খেলছেন। তার সঙ্গে থাকা নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে ২ বল খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

শতরানের জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিলেন মোস্তাফিজ

আক্রমণে ফিরে নতুন স্পেলে নিজের দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ভাঙলেন শতরানের জুটি। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হলেন হাশমতউল্লাহ শহিদি।

মোস্তাফিজের এটি চতুর্থ শিকার। শহিদি আউট হলেন ৯২ বলে ২ চারে ৫২ রানে। তার সঙ্গে মোহাম্মদ নবির ষষ্ঠ উইকেট জুটি ছিল ১২২ বলে ১০৪ রানের।

৪১ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৯ রান। ক্রিজে নবির নতুন সঙ্গী হলেন রশিদ খান।

শহিদি-নবির জুটিতে একশ

২০ ওভারের মধ্যে মাত্র ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আফগানিস্তান। সেই বিপর্যয় পেরিয়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছেন হাশমতউল্লাহ শহিদি ও মোহাম্মদ নবি। যদিও দুজন দুরকম তালে ব্যাট করছেন।

তাদের ষষ্ঠ উইকেট জুটির রান একশ স্পর্শ করল ১১৬ বলে। সেখানে অধিনায়ক শহিদির অবদান ৩৩, অভিজ্ঞ নবির ৬৩।

৪০ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৭৪। ক্রিজে শহিদি ৯১ বলে ৫২ ও নবি ৬৪ বলে ৬৫ রানে খেলছেন। তাদের জুটি ভাঙতে উইকেটের খোঁজে আছে বাংলাদেশ।

নবির পর শহিদির হাফসেঞ্চুরি

মোস্তাফিজুর রহমানের ড্রাইভ করে সিঙ্গেল নিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি। ব্যক্তিগত মাইলফলকে যেতে আফগানিস্তান অধিনায়কের লাগল ৮৭ বল।

চারে নামা শহিদি শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলছেন। দ্রুত ৫ উইকেট পড়ার পর মোহাম্মদ নবির সঙ্গে তার জুটি জমে গেলেও তিনি খোলসেই আটকে আছেন।

৩৯ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৭০। শহিদি ও নবির অবিছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এখন পর্যন্ত এসেছে ৯৯ রান।

ফিফটি করলেন নবি

রিশাদ হোসেনের বলে ডাবল নিয়ে ফিফটি পূরণ করলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা মোহাম্মদ নবি। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি, বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম। ব্যক্তিগত মাইলফলকে যেতে তার লাগল ৫২ বল।

পরের বলেই টপ এজে ক্যাচ তুলেছিলেন নবি। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লং অফ থেকে দৌড় শুরু করতে দেরি করে ফেলেন। তাই অনেকক্ষণ হাওয়ায় বল ভাসলেও তা লুফে নিতে পারেননি। সুযোগ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের।

৩৭ ওভারে আফগানদের রান ৫ উইকেটে ১৫৭।

৩৬তম ওভারে আফগানদের দেড়শ

১৪তম ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া আফগানিস্তানের শতরান পূর্ণ হয় ২৬তম ওভারে। তৃতীয় দলীয় পঞ্চাশ তারা স্পর্শ করল আরও দ্রুতগতিতে। ৩৬তম ওভারে স্কোরবোর্ডে দেড়শ পূরণ হলো তাদের।

৩৬ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫২ রান। হাশমতউল্লাহ শহিদি ৮২ বলে ৪৭ ও মোহাম্মদ নবি ৪৯ বলে ৪৮ রানে ক্রিজে আছেন।

রিশাদকে ছক্কায় উড়িয়ে বল হারালেন নবি

রিশাদ হোসেনকে আগে একবার ছক্কায় উড়িয়েছিলেন আফগানিস্তানের রানের গতি বাড়াতে থাকা মোহাম্মদ নবি। ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরেকবার লং-অন দিয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠালেন তিনি। এই শটে বল হারিয়েই গেল। তাই আরেকটি বল আনতে বাধ্য হলেন আম্পায়াররা।

২৬তম ওভারে আফগানিস্তানের একশ

৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে দ্রুত রান বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে আফগানিস্তান। ১৪তম ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া দলটি একশ পূরণ করেছে ২৬তম ওভারে। সাতে নামা মোহাম্মদ নবি ক্রিজে গিয়েই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন।

২৬ ওভারে আফগানদের রান ৫ উইকেটে ১০০। ক্রিজে হাশমতউল্লাহ শহিদি ৫৩ বলে ২৫ ও নবি ১৮ বলে ২১ রানে আছেন।

বাংলাদেশের রিভিউ নষ্ট

২৩তম ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে গেল। সেসময় হাশমতউল্লাহ শহিদির ব্যাট মাটিতে ঘষা লাগায় শব্দ হলো। সেটা বুঝতে না পেরে আউটের জন্য জোরালো আবেদন করলেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।

আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেল, ব্যাট ও বলের মধ্যে স্পষ্ট ফাঁক ছিল। তাই রিভিউ নষ্ট হলো বাংলাদেশের।

তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার গুলবদিন

প্রথম স্পেলে ৩ ওভার করে ১ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে নিজের ষষ্ঠ ওভারে তিনি ধরলেন দ্বিতীয় শিকার। বাজে শটে বিপদ ডেকে আনলেন গুলবদিন নাইব। শর্ট ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় শর্ট মিডউইকেটে তানজিদ হাসান তামিমের তালুবন্দি হলেন তিনি।

গুলবদিনের সংগ্রহ ৩২ বলে ৩ চারে ২২ রান। তার বিদায়ে ভাঙল আফগানিস্তানের ৬১ বলে ৩৬ রানের জুটি। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদির সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোতে পারলেন না গুলবদিন।

২০ ওভার শেষে চাপে থাকা আফগানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭১ রান। হাশমতউল্লাহ ৩৫ বলে ১৮ রানে ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গী মাত্রই নামা মোহাম্মদ নবি, যিনি অতীতে অনেকবার বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন।

১৪তম ওভারে আফগানিস্তানের পঞ্চাশ

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মোটেও সুবিধা করতে পারছে না আফগানিস্তান। তাদের পঞ্চাশ পূর্ণ হলো ১৪তম ওভারে। মোস্তাফিজুর রহমানকে মিড অন দিয়ে চার মেরে স্কোরবোর্ডে দলীয় ফিফটি পূরণ করলেন হাশমতউল্লাহ শহিদি।

১৪ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫০ রান। ক্রিজে অধিনায়ক শহিদি ১৬ বলে ১০ ও গুলবদিন নাইব ১৫ বলে ৯ রানে খেলছেন।

পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট নিল বাংলাদেশ

টস হেরে আগে বোলিং পেয়ে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তারা নিল ৪ উইকেট। বিপরীতে, আফগানিস্তান তুলতে পারল মাত্র ৩৬ রান।

ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ শুরুতে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরানোর পর বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান দাপলেন তোপ। তিনি অষ্টম ওভারে আক্রমণে গিয়ে দুই ওভারের মধ্যে শিকার করলেন ৩ উইকেট। একে একে সাজঘরে গেলেন রহমত শাহ, সেদিকউল্লাহ অটল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম উইকেট না পেলেও করেছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তার ৫ ওভারে এসেছে মাত্র ১২ রান।

পেসারদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর পাওয়ার প্লে শেষে প্রথমবারের মতো আক্রমণে স্পিনার আনলেন বাংলাদেশ দলনেতা নাজমুল হোসেন শান্ত। বল হাতে পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আবার উইকেটের উল্লাস করলেন মোস্তাফিজ

দশম ওভারে জোড়া উইকেট নিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেদিকউল্লাহ অটলকে সাজঘরে পাঠানোর দুই বল পর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বিদায় করলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। অফ স্টাম্প ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়া বলে দ্বিধা নিয়ে খোঁচা মেরে বিপদ ডেকে আনলেন ওমরজাই। উইকেটের পেছন ক্যাচ নিলেন মুশফিকুর রহিম।

ওমরজাই ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। ১০ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬ রান। ক্রিজে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ৬ বলে ৪ এবং গুলবদিন নাইব ১ বলে ১ রানে খেলছেন।

মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার সেদিকউল্লাহ

পরপর দুই ওভারে দুই শিকার ধরলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেদিকউল্লাহ অটলের ইতিবাচক শুরুকে বেশিদূর এগোতে দিলেন না তিনি। অভিষিক্ত আফগান ওপেনার ফুল লেংথ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লেন। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদির সঙ্গে আলাপ করে রিভিউ না নিয়েই সেদিকউল্লাহ মাঠ ছাড়লেন। তবে নিলেও লাভ হতো না।

সেদিকউল্লাহ সাজঘরে ফিরলেন ৩০ বলে ৩ চারে ২১ রানে। ১০.২ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হলো আফগানিস্তানের।

ধুঁকতে থাকা রহমতকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে পরিবর্তন আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সিদ্ধান্তকে পূর্ণতা দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বলে আউটসাইড এজ হলেন রহমত শাহ। আরেকটি ক্যাচ নিলেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।

ধুঁকতে থাকা রহমতের সংগ্রহ ১৩ বলে ২ রান। ৮ ওভারে আফগানিস্তান তুলেছে ২ উইকেটে ৩৪ রান। ক্রিজে অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ অটল আছেন ২৪ বলে ২০ রানে। তার নতুন সঙ্গী অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।

ষষ্ঠ ওভার চলাকালীন বদলাতে হলো বল

ইনিংসের মাত্র ষষ্ঠ ওভার চলাকালীন চামড়া খুলে আসায় বল বদলাতে হলো। তাসকিন আহমেদ ওভারের প্রথম বলটি করার পর বিষয়টি নজরে আসে মাঠের দুই আম্পায়ারের। এরপর চামড়া কেটে ফেলার পরিবর্তে চতুর্থ আম্পায়ারকে ডেকে নতুন বল নিলেন তারা।

প্রথম আঘাত তাসকিনের

আফগানিস্তানের ইনিংসে আঘাত হেনে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। ক্রিজ ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে আসা রহমানউল্লাহ গুরবাজ পরাস্ত হলেন সুইংয়ে। তার ব্যাট ছুঁয়ে অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি জমা পড়ল মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।

৭ বলে ওপেনার গুরবাজের রান ৫। দ্বিতীয় ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭ রান। ক্রিজে অভিষিক্ত আরেক ওপেনার সেদিকউল্লাহ অটলের সঙ্গী রহমত শাহ।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের রেকর্ড

ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম স্টেডিয়াম হিসেবে ৩০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের অনন্য কীর্তি গড়ল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই ম্যাচসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভেন্যুটিতে হওয়া ওয়ানডে ২৫৩টি। তাছাড়া, এই স্টেডিয়ামে ৩৮টি টি-টোয়েন্টি ও ৯টি টেস্ট হয়েছে।

বাংলাদেশের একাদশে তিন পেসার

তিন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে আছেন দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন।

প্রয়োজন পড়লে হাত ঘোরাতে পারেন আরও দুজন। তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। ভিসা না পাওয়ায় এই ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তানের জার্সিতে সেদিকউল্লাহর অভিষেক

সম্প্রতি ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে আলো ছড়িয়ে ওয়ানডেতে অভিষেকের স্বাদ পেয়ে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার সেদিকউল্লাহ অটল।

আফগানিস্তানের একাদশে বিশেষজ্ঞ বোলার মাত্র দুজন— বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি ও রহস্য স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর। সঙ্গে আছেন পাঁচ অলরাউন্ডার রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে, গুলবদিন নাইব ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

আফগানিস্তান একাদশ: রাহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ অটল, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর, নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে, ফজলহক ফারুকি।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস ভাগ্য পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া নিয়ে হাশমতউল্লাহ বলেছেন, এখানে রান তাড়া কিছুটা কঠিন। তাই আগে ব্যাট করে বড় স্কোর করতে চান তারা।

অন্যদিকে, টস হারলেও ভালো বোলিং আক্রমণ দিয়ে আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখার আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

দুই দল ওয়ানডেতে এর আগে ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে জয়ের পাল্লা ভারী বাংলাদেশের দিকে। ১০টি জয়ের বিপরীতে ছয় ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে আফগানিস্তান।

Comments

The Daily Star  | English

$14b lost to capital flight a year during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

10h ago