বিজয়-অমিতের সেঞ্চুরির দিনে ইমরুলের রানআউট বিতর্ক
ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়লেও এনামুল হক বিজয় ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের ছন্দ ধরে রাখলেন। জাতীয় লিগে আগের ম্যাচে ৯৫ করলেও এবার পেলেন সেঞ্চুরি, তার সঙ্গে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন অমিত মজুমদার। এই দুজনের শতকে খুলনা ভালো অবস্থায় থাকলেও ইমরুল কায়েসের রানআউট বিতর্ক সিলেটের মাঠে ছড়ালো উত্তেজনা।
শনিবার ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ৩৫৮ রান করে খুলনা। দলের হয়ে ১৬৯ বলে ১৩ চার, ৩ ছয়ে ১২৫ করেন বিজয়। ২৩৪ বলে ১৪ চার, ৩ ছয়ে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেন অমিত। এই দুজনের পর দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে ইমরুল কায়েসের ব্যাটে। তিনি থামেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে।
৭৫ বলে স্ট্রোক ঝলমলে ৪৬ করতে ইমরুল মারেন ৭ চার, বাঁহাতি ব্যাটার যেতে পারতেন আরও দূরে। বিতর্কিতভাবে রান আউটের শিকার হন তিনি।
ইনিংসের ৭৬তম ওভারের ঘটনা। অনিয়মিত বোলার শামসুর রহমানের ওভারের শেষ বল অন সাইডে ঠেলে প্রান্ত বদল করতে যান ইমরুল। মিড অন থেকে খানিকটা সরে গিয়ে রাকিবুল হাসান বল ধরে সরাসরি থ্রোতে ভেঙে দেন নন স্ট্রাকিং প্রান্তের স্টাম্প। তবে বিসিবির প্রচারিত ম্যাচের লাইভ ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে স্টাম্প ভাঙার আগেই ইমরুল অনায়াসে ক্রিজে ঢুকে পড়েছিলেন। স্টাম্প ভাঙতেই আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দেয়ায় দুহাত প্রসারিত করে আপত্তি ও বিস্ময় জানান ইমরুল।
এই ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন মানজুরুল ইসলাম তালুকদার মিন্টু ও আসাদুর রহমান। তিনি কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এদিকে জাতীয় লিগের আরেক ম্যাচে বগুড়ায় ছিলো বোলারদের দাপট। রংপুর বিভাগকে ১৫৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছে সিলেট বিভাগ। তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন সিলেটের তিন পেসার খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি ও রেজাউর রহমান রাজা। জবাবে বিনা উইকেটে ২৪ রান তুলে দিন পার করেছে সিলেট।
কক্সবাজারে প্রতিকূল আবহাওয়ায় খেলা হয়েছে কেবল ২৬ ওভার। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগ ১ উইকেটে করেছে ১০৭ রান। পারভেজ হোসেন ইমন ৫৪ ও সাজ্জাদুল হক রিপন ৪৬ রান করে অপরাজিত আছেন।
Comments