শান্তদের দায়িত্ব নিতে ঢাকায় এলেন নতুন প্রধান কোচ সিমন্স

Phil Simmons

চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার সঙ্গে নতুন প্রধান কোচ হিসেবে ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার সিমন্স বুধবার সকালে ঢাকায় এসেছেন।

বুধবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গেই ঢাকায় পা রাখেন সিমন্স। ৬১ বছর বয়েসী সিমন্স দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ নিয়েই বাংলাদেশে তার অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি করেছে বিসিবি।

নব্বুই দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৬ টেস্ট ও ১৪৩ ওয়ানডে খেলেছেন সিমন্স। ওপেনিং ব্যাটিং ও মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে দলে অবদান রাখতেন তিনি। টেস্টে তেমন আহামরি কিছু করতে না পারলেও ওয়ানডেতে বেশ নামডাক কুড়িয়েছিলেন তিনি। সীমিত ওভারে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রান ও ৮৩ উইকেট আছে তার।

ক্রিকেট ছাড়ার পর ২০০৪ সালে কোচিং পেশায় আসেন সিমন্স। দলটির হয়ে খুব বেশি ভালো সময় কাটেনি তার। ২০০৭ সালে দায়িত্ব নেন আয়ারল্যান্ডের। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন আইরিশদের সঙ্গে। ২০১৬ সালে তার অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোচ সিমন্সের এটাই সেরা সাফল্য। এরপর আফগানিস্তানের কোচ ছিলেন কিছুদিন, ২০১৯ সালে আবার হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির দায়িত্বে দেখা গেছে এই ক্যারিবিয়ানকে।

জাতীয় দলের বাইরে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কাজ করেছেন সিমন্স। সর্বশেষ তাকে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর ক্রিকেট লিগে দেখা গেছে।

সিমন্স বাংলাদেশের দায়িত্ব নিচ্ছেন কঠিন পরিস্থিতিতে। ভারতে বাজে পারফর্ম করে আসা বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে আর কদিন পর মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার। এই সময়ে এক বছর আগের অসদাচরণের দায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে হাথুরুসিংহে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছে বিসিবি।

২১ অক্টোবর  মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ। এই টেস্টই হবে বাংলাদেশের হয়ে সিমন্সের কোচিং অধ্যায়ের শুরু। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে দলের অনুশীলনে থাকতে পারেন তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago