উল্টো দেড় সেশন হাতে রেখেই জিতল ভারত

কানপুর টেস্টে আড়াই দিনেরও বেশি খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে

প্রথম দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৩৫ ওভার। পরের দুই দিন তো বল মাঠেই গড়ায়নি। এমন অবস্থায় কে ভেবেছিল এমন ম্যাচেও ফলাফল আসবে? কিন্তু কাজটা সহজ করে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ফলাফল আনার প্রাণপণ চেষ্টায় একের পর এক বাজে শটে উইকেট দিলেন বিলিয়ে। তাতে উল্টো এক সেশন হাতে রেখেই জয় তুলে নিল ভারত।

সোমবার কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশের দেওয়া ৯৫ রানের লক্ষ্য ১৭.২ ওভারেই করে ফেলে দলটি। দিনের খেলা তখনও বাকি ছিল ৪৪.৪ ওভার।

হারের শঙ্কাটা চতুর্থ দিনেই জাগায় টাইগার ব্যাটাররা। দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ভারতীয়রা। একাধিক রেকর্ড গড়ে দারুণ শুরু করে দলটি। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আগ্রাসন থামেনি। ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

চতুর্থ দিনের শেষ বেলাতে দুটি উইকেট তুলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখে ভারত। তাই শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচাতে টাইগার ব্যাটারদের প্রয়োজন ছিল মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। কিন্তু তা না করে নিয়মিত শট খেলতে থাকেন তারা। রিভার্স সুইপের মতো বিপজ্জনক শট খেলতে পিছ পা হননি। তাতে পড়েছে নিয়মিত উইকেটও। ফলে মাত্র ৯৪ রানের লিড নিতে পারে বাংলাদেশ।

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ভারত। বিশেষকরে জশস্বি জয়সওয়াল ছিলেন দুর্দান্ত। ৪৫ বলে ৫১ রান করে জয় থেকে তিন রান বাকি থাকতে তাইজুল ইসলামের শিকার হন এই ব্যাটার। ৪৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করা এই ওপেনার নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কায়। বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে।

মাঝে ভারতীয় শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগ সীমানায় হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৮)। আর শুবমান গিলকে (৬) ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। কোহলির বিপক্ষেও অবশ্য এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউতে ইমপ্যাক্ট বাইরে থাকায় বেঁচে যান এই ব্যাটার।

Comments

The Daily Star  | English

An unholy race between buses tears two sisters apart

One killed, one injured after being run over by bus in Dhaka's Badda

1h ago