আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখল বাংলাদেশ
সেন্ট ভিনসেন্টের কঠিন উইকেটে দুই ওপেনার ভালো শুরু আনলেও খুব বড় পুঁজি পায়নি আফগানিস্তান। তবে মন্থর ও দুই রকম বাউন্সের উইকেটে এই পুঁজিও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হওয়ার কথা।
সুপার এইটের সমীকরণে ভরা শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেতে ১১৫ রান করেছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন গুরবাজ। শেষ দিকে ১০ বলে ১৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন রশিদ। এই রান যদি বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে তাড়া করতে পারে তাহলে সেমিফাইনালে যেতে পারবে। তবে আফগানিস্তানের ইনিংসের পর নামা বৃষ্টিতে সমীকরণ বদলেও যেতে পারে আরও।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে সতর্ক শুরু করেন এই আফগান ওপেনার। উইকেটের দাবিও হয়ত সেটাই। সাকিব আল হাসান অবশ্য এই জুটিকে পাওয়ার প্লের মধ্যে ভাঙতে পারতেন। ৯ রানে থাকা ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচ রাখতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়।
পাওয়ার প্লে অনায়াসে পার করে দিয়ে সতর্ক পথেই এগিয়ে ১০ ওভারও পার করে দেয়। একাদশ ওভারে গিয়ে উইকেট নেন রিশাদ। রিশাদকে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইব্রাহিম। ২৯ বল করেন ১৮ রান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও আফগানিস্তানের রানের গতি তেমন বাড়েনি। ৩১ বলে ২৫ রানের এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তিনি।
পরের ওভারে বিপদজনক গুরবাজকে তুলে নেন রিশাদ। তুলে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা দেন এই ওপেনার। ৫৫ বলে করে যান ৪৩। খানিকপর গুলবদিন নাইবও ফেরেন রিশাদ-সৌম্য যুগলে। এবার রিশাদের বলে দারুণ ক্যাচ হাতে জমান সৌম্য। পরের ওভারে দারুণ বল করা তাসকিন ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নবিকে। ৯৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
শেষ দিকে রশিদ খানের ছোট্ট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে তিন অঙ্ক পার করে থামে আফগানিস্তান। এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার রিশাদ। ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। তাসকিন স্রেফ ১২ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। খরুচে বল করেন আগের ম্যাচগুলোতে ভালো করা তানজিম। ৪ ওভারে তিনি দিয়ে দেন ৩৬ রান।
Comments