‘খুব ভালো সিরিজের’ তৃপ্তি শান্তর

Najmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতা খুবই প্রত্যাশিত। শেষ ম্যাচ হারলেও সেই প্রত্যাশিত ফলই এসেছে। তবে বাংলাদেশের খেলার ধরণ নিয়ে আছে প্রশ্ন। দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জিতলেও মন কি ভরাতে পেরেছে বাংলাদেশ দল? অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য জানালেন, নিজেদের তৃপ্তির কথাই।

এমনিতে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতা তো বেশ ভালো ফলই। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন জিম্বাবুয়ে, যারা কিনা ২০ দলের বিশ্বকাপেও কোয়ালিফাই করতে পারেনি। তাদের বিপক্ষে সব ম্যাচেই বাংলাদেশের দাপট দেখিয়ে জেতা ছিলো বেশি প্রত্যাশিত।

প্রথম দুই ম্যাচে লড়াইবিহীনভাবে জিতলেও পরের তিন ম্যাচে জিম্বাবুয়ে জেতার মতন পরিস্থিতি তৈরি করে, জেতেও শেষ ম্যাচ। সিরিজজুড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিলো নড়বড়ে, অ্যাপ্রোচ ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। কোন ব্যাটারই দেড়শো স্ট্রাইকরেট রাখতে পারেননি।

রোববার সিরিজ শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে নিজের পর্যালোচনায় ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন শান্ত,  'অবশ্যই (তৃপ্ত) আমার মনে হয় যে খুব ভালো একটা সিরিজ গিয়েছে। সিরিজ জিতলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তৃপ্তির জায়গা এটা বলব যে আমরা যে যে পরীক্ষাগুলো করেছিলাম, যে যে জিনিসগুলো আমাদের দেখার দরকার ছিল যে আমরা ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। টপ অর্ডাররা একটা ম্যাচে খুব ভালো স্টার্ট দিয়েছে। আজকের ম্যাচ যদি দেখেন, মিডল অর্ডার একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। এই রকম বেশ কিছু জায়গা আছে। রিশাদ (হোসেন) পুরা সিরিজটাতে আমার মনে হয় খুব ভালো বল করেছে। এই রকম যদি চিন্তা করা যায় তাহলে অবশ্যই অনেক ইতিবাচক দিক আছে এবং আমরা যে জিনিসগুলো আশা করেছিলাম, প্রায় আমরা ওই জিনিসগুলোর কাছাকাছি যেতে পেরেছি।'

টপ অর্ডার এক ম্যাচে ভালো শুরু আনলেও মূলত ব্যর্থ হয় বাকি তিন ম্যাচ। দলের সফলতম ওপেনার লিটন দাস ছন্দহীন হয়ে শেষ দুই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না। অধিনায়ক নিজের ব্যাট হাসেনি। পাঁচ ম্যাচে তিনি করতে পেরেছেন মোটে ৮১ রান।

নেতিবাচক খুঁজলে অস্বস্তির জায়গা বের হয় বেশ কয়েকটি। তবে শান্ত সেসব দিকে না তাকিয়ে বিশ্বকাপের আগে ইতিবাচক জিনিসই বেছে নিতে চান, 'স্পিনাররা খুব ভালো বল করেছে। বিশেষ করে রিশাদ ভালো বল করেছে। শেখ মেহেদি ভালো বল করেছে। মাঝখানে ওকে বিশ্রাম  দিয়ে তানভীরকে (ইসলাম) খেলানো হয়েছে, ও ভালো করেছে। এই জিনিসগুলো ভালো ছিল। পাশাপাশি জাকের আলী (অনিক) আজকের ইনিংসটা বা মাঝখানের ইনিংস, ওখানেও চেষ্টা করেছে ও যেটা জানে সেটা দেয়ার। ছোট ছোট বেশ কিছু জায়গা আছে আমার মনে হয় আমরা কাছাকাছি যেতে পেরেছি।'

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ ওদের মুঠো থেকে বের করে এনে জেতার মাঝেও অর্জন দেখছেন শান্ত,  'শুরুতে যেটা বললাম, কয়েকটা ক্লোজ ম্যাচ  আমরা জিতেছি। যেটা আমাদের দরকার ছিল কারণ এই ধরনের ম্যাচ কিন্তু সামনে যে সিরিজ বা টুর্নামেন্ট আছে এই ধরনের ম্যাচ কিন্তু আসবে। তো ওই সময় আমরা আমাদের পরিকল্পনা কীভাবে প্রয়োগ করছি, বোলাররা কীভাবে পরিকল্পনাটা প্রয়োগ করছে, ওই সময়ে আমরা কতটুকু শান্ত থাকছি ওই জিনিসগুলো আমরা অনুশীলন করছি। ক্লোজ ম্যাচ যেগুলো আমরা খেলেছি বলা যেতে পারে ওদের হাতে ম্যাচটা ছিল একটা সময়। কিন্তু ওইখান থেকে ফিরে যেভাবে আমরা ম্যাচ বের করে এনেছি এটা ইতিবাচক দিক। আমাদের কাজে দিবে টুর্নামেন্টটাতে।'

Comments

The Daily Star  | English

Mindless mayhem

The clashes between students of three colleges continued yesterday, leaving over 100 injured in the capital’s Jatrabari.

4h ago