অশ্বিনের রেকর্ড পাঁচ শিকারে তিন দিনেই বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড
সকালটা শুরু হয় জেমস অ্যান্ডাসরনের ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা দিয়ে। অ্যান্ডারসনের ওই মাইলফলক ছাড়া বাকি সময়ে ইংল্যান্ডের আনন্দের উপলক্ষ আর আসেনি। বরং শততম টেস্ট খেলতে নেমে সফরকারীদের চেপে বিপুল উদযাপনে মাতোয়ারা হয়েছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। টেস্টে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার পাঁচ উইকেট শিকারের ইতিহাস গড়েছেন তিনি। তাতে ইংল্যান্ড হেরেছে তিন দিনেই।
শনিবার ধর্মশালা টেস্টে তৃতীয় দিনেই এসে গেছে ফল। ভারতের কাছে ইনিংস ও ৬৪ রানে বিধ্বস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২১৮ রান করা সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে থামে ১৯৫ রানে। ভারতের একবার ব্যাট করে করা ৪৭৭ রান সফরকারীদের জন্য যে অনেক বেশি হয়ে গেছে তা বোঝা গেছে খেলার ধরণে। পাঁচ টেস্টের সিরিজের প্রথমটি জিতে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ৪-১ ব্যবধানে হেরে সিরিজ শেষ করল বেন স্টোকসের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার অশ্বিন, সিরিজের সবচেয়ে সফলও তিনি। এই অফ স্পিনার প্রথম ইনিংসেও নেন ৪ উইকেট। শততম টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে বসেন মুত্তিয়া মুরালিধরনের পাশে।
২৫৯ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারেই হারায় উইকেট। অশ্বিনের বলে অহেতুক বেরিয়ে এসে এলোপাথাড়ি শটের চেষ্টায় বোল্ড হন বেন ডাকেট। ৬ষ্ঠ ওভারে আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রলি অশ্বিনের বলেই ফেরেন খালি হাতে। দশম ওভারে ওলি পোপও অশ্বিনের শিকার।
৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ইংল্যান্ডকে টানতে পাল্টা আক্রমণের মেজাজ দেখাচ্ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু তার আগ্রাসন খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। কুলদীপ যাদবের ক্ল্যাসিক্যাল রিষ্ট স্পিন বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ৩১ বলে ৩৯ করে। সিরিজজুড়ে হতাশাময় পারফরম্যান্স করা বেন স্টোকস এদিনও ব্যর্থ। অশ্বিন তাকে বোল্ড করে ধরেন চতুর্থ শিকার।
৫ উইকেটে ১০৩ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। লাঞ্চ সেরে ফিরেই ফের অশ্বিনের আঘাত। বেন ফোকসকে বোল্ড করে টেস্টে ৩৬তম পাঁচ উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। অনিল কুম্বলেকে টপকে তিনিই এখন ভারতের সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেট নেওয়া বোলার।
এক পাশে জোর রুট টিকে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন। টম হার্টলিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তিনি। ৭ম উইকেট জুটিতে ২৮ রান যোগ করেন তারা। ছোট্ট এই প্রতিরোধ ভেঙে জোড়া আঘাত হানেন জাসপ্রিট বুমরাহ। হার্টলি ও মার্ক উডকে পর পর দারুণ দুই ইয়র্কারে এলবিডব্লিউতে ফেরান তিনি।
এরপর শোয়েব বশিরের সঙ্গে নবম উইকেট ৬৮ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়ে হারের ব্যবধান কমান রুট। নিজের সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন, তা আর হয়নি। শেষ ব্যাটার হিসেবে কুলদীপের বলে ছক্কার চেষ্টায় ৮৪ রানে থামেন রুট। ১২৮ বলের ইনিংসে ১২ চারে একা লড়াই চালান ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটার।
Comments