হেনরির ৭ উইকেটের পর ল্যাথাম-উইলিয়ামসনের ফিফটি

Matt Henry
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেট নিলেন হেনরি।

আগের দিন নিয়েছিলেন ৩ উইকেট, ম্যাট হেনরি এদিন উইকেট নিলেন আরও চারটি।  তার তোপে আড়াইশ পেরিয়েই থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ নিউজিল্যান্ডকে এবার দ্বিতীয় ইনিংসে ভরসা দেন টম ল্যাথাম ও কেইন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন ফিরে গেলেও ল্যাথাম জিইয়ে রেখেছেন স্বাগতিকদের আশা।

ক্রাইস্টচার্চে শনিবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে লড়াই বেশ জমে উঠার আভাস মিলছে। পেসারদের জন্য বেশ ভালো পিচে হাতে ৮ উইকেট নিয়ে ৪০ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ১৬২ রানের জবাবে ২৫৬ রান করতে পারে অজিরা। এরপর ২ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে কিউইরা। ল্যাথাম অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে। উইলিয়ামসন ৫১ রান করে আউট হওয়ার পর ১১ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন রাচিন রবীন্দ্র।

আগের দিনের ৪ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে নেমে খুব বড় পুঁজি পাওয়া হয়নি সফরকারীদের। পেসারদের জন্য সহায়ক কন্ডিশনে সাফল্য দেখান হেনরি।

দিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই করে অস্ট্রেলিয়া। নাইটওয়াচ ম্যান ন্যাথান লায়নকে নিয়ে প্রথম ঘন্টা নির্বিঘ্নে পার করে দেন মারনাশ লাবুশানে। ৫১ রানের জুটির পর লায়নকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হেনরি। খানিক পর খালি হাতে ফেরান মিচেল মার্শকেও। আলেক্স কেয়ারি থিতু হওয়ার আগেই ক্যাচ দেন গ্লেন ফিলিপসের বলে। একা লড়তে থাকা লাবুশানেকে সেঞ্চুরির ১০ রান আগে টিম সাউদি তুলে নিলে আর টিকতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। টেল এন্ডারদের মুড়ে ৬৭ রানে ৭ উইকেট দখল করেন হেনরি।

৯৪ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর তৃতীয় ওভারেই উইল ইয়ংকে হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপরই দারুণ প্রতিরোধ গড়েন দুই অভিজ্ঞ ল্যাথাম-উইলিয়ামসন।

১০৫ রানের জুটির পর একদম শেষ বিকেলে সাবেক কিউই অধিনায়ককে বোল্ড করে দেন অজি কাপ্তান। তৃতীয় উইকেটে পরে ২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন পার করেছেন ল্যাথাম-রাচিন।

ক্রাইস্টচার্চের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করা হতে পারে বেশ চ্যালেঞ্জের। অস্ট্রেলিয়াকে অন্তত আড়াইশ রানের লক্ষ্য দিতে পারলে ম্যাচ জেতার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি করবে নিউজিল্যান্ড।

ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টে বড় জয়ে সিরিজে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago