বিসিএল

নাহিদ-প্রিতম-আকবরের নৈপুণ্যে ফের চ্যাম্পিয়ন উত্তরাঞ্চল

ছবি: বিসিবি

৫ উইকেট নিয়ে পূর্বাঞ্চলের পুঁজি বড় হতে দিলেন না নাহিদ রানা। ডানহাতি পেসার বল হাতে আলো ছড়ানোর পর ব্যাট হাতে নজর কাড়লেন প্রিতম কুমার ও অধিনায়ক আকবর আলি। চাপ সামলে তাদের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে লক্ষ্য পূরণ করল উত্তরাঞ্চল। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণের শিরোপা ধরে রাখল তারা।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে ৪ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উত্তরাঞ্চল। পূর্বাঞ্চলের ছুঁড়ে দেওয়া ২৭৬ রানের লক্ষ্য ৩৮ বল হাতে রেখে স্পর্শ করেছে তারা।

বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণের তিন আসরে উত্তরাঞ্চলের এটি টানা দ্বিতীয় শিরোপা। অভিষেক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মধ্যাঞ্চল। অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পূর্বাঞ্চলকে। আগের দুই আসরে দক্ষিণাঞ্চল হয়েছিল রানার্সআপ।

ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন নাহিদ। ৫ উইকেট নিতে ১০ ওভারে তার খরচা ৫০ রান। জবাব দিতে নেমে দ্রুত এগোতে থাকা উত্তরাঞ্চল ২৭তম ওভারে ১৭৮ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এরপর ৮০ রানের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন দুই ডানহাতি প্রিতম ও আকবর। ৮৬ বলে ৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রিতম। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ১ ছক্কা। তিনি যখন বিদায় নেন, তখন লক্ষ্য থেকে ১৮ রান দূরে ছিল উত্তরাঞ্চল। দলটি বাকি পথ পাড়ি দেয় আকবরের ব্যাটে। তিনি ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫৯ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৬ চার ও ১ ছক্কা।

ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক উইকেটে উত্তরাঞ্চলকে শুরুতে টানেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি করেন ৪৬ বলে ৪৩ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ১ ছক্কা। তবে অন্যপ্রান্ত থেকে মেলেনি তেমন সহায়তা। তানজিদ যখন আউট হন, তখন ৮৮ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল উত্তরাঞ্চল। সেসময় ৯০ রানের জুটি গড়ে দলটিকে রান তাড়ার রসদ দেন প্রিতম ও তাইবুর রহমান। তারা বিচ্ছিন্ন হন তাইবুরের আউটে। ৩০ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

ম্যাচের অমন পরিস্থিতিতে দুই দলের সামনেই ছিল ভালো সুযোগ। তবে পূর্বাঞ্চলকে চড়াও হতে দেননি প্রিতম ও আকবর। পূর্বাঞ্চলের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ২ উইকেট পান ৩৯ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৫ রান তুলতে পারে পূর্বাঞ্চল। শক্ত ভিত পেলেও শেষদিকে ঝড় তুলতে ব্যর্থ হয়ে পুঁজি বড় করতে পারেনি তারা। দলটির হয়ে শাহাদাত হোসেন দিপু সর্বোচ্চ ১১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাঁচ নম্বরে নেমে ১২২ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৯ চার ও ২ ছক্কা। তবে বিফলে গেছে তার সেঞ্চুরি। এছাড়া, ফিফটি আসে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে। ৮৯ বল মোকাবিলায় ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে শাহাদাত ও পারভেজ মিলে যোগ করেন ১২২ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

6h ago