‘এখন হয়তো এতটা রাবিশ নই’, স্পেশাল সেঞ্চুরির পর এলগার
সিরিজ শুরুর আগেই ডিন এলগার জানিয়ে দেন এটাই তার শেষ সিরিজ। পারফরম্যান্সে উঁচুতে থেকে ক্যারিয়ার থামাতে চাওয়া এই ওপেনার শেষ সিরিজের প্রথম টেস্টে নেমেই করলেন সেঞ্চুরি। নিজের ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি আবার এক হিসেবে প্রথম। নিজের ঘরের মাঠ সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে যে এর আগে তিন অঙ্কের দেখা পাননি তিনি।
ব্লুমফন্টেইনে জন্ম নেওয়া এলগার নর্দান ট্রান্সভাল প্রদেশেই পরে থিতু হন। সেঞ্চুরিয়ন তাই তার ঘরের মাঠে। নিজের খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য সব মাঠে শতকের দেখে পেলেও চেনা আঙিনায় অচেনা ছিলেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন। তবে তার যে এখানে সেঞ্চুরি ছিলো না সেটা সতীর্থদের কাছেও ছিলো বিস্ময়কর, 'সেদিন এই নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ হচ্ছিলো, ওরা তো অবাক। ভেবেছিল এখানে বেশ কয়েকটি সেঞ্চুরি করেছি। আমি তাদের বললাম, "আমি এখানে রাবিশ"। তবে এখন হয়তো এতটা রাবিশ নই।'
সেঞ্চুরিয়নে আর এর আগে সেঞ্চুরি না থাকলেও ৯ টেস্টে এলগারের ফিফটি ছিলো পাঁচটা। নব্বুই পেরিয়ে আউট হয়েছেন একবার, সত্তর পেরিয়ে দুবার। শেষটায় এসে পেলেন সেঞ্চুরিও। পরিবারের স্বজন, বন্ধুরাও সাক্ষী হলেন তার এই অর্জনের। সব মিলিয়ে এলগারের মনে হচ্ছে এটি খুবই বিশেষ কিছু, 'এই সেঞ্চুরি আমার জন্য স্পেশাল। সেঞ্চুরিয়নেই সেঞ্চুরি ছিলো না আমার। ক্যারিয়ারে এটা বারবারই দূরে থেকেছে। এই টেস্টে আমার পরিবার, বন্ধুরা সবাই এসেছে। এই মাঠে আমার শেষ টেস্ট বলেই এসেছে। অবশেষে সুপার স্পোর্টস পার্কের অনার্স বোর্ডে নাম উঠেছে, আমি খুশি। দক্ষিণ আফ্রিকার সব ভেন্যুর (তার খেলা) অনার্স বোর্ডে আমার নাম আছে।'
এলগারের সেঞ্চুরিতে সেঞ্চুরিয়নে ভালো অবস্থান দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫৬ রান তুলেছে তারা। ২১১ বলে ১৪০ রান করে ক্রিজে আছেন এলগার। তাকে হাতছানি দিচ্ছে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।
Comments