প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

রিশাদের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, লিটন-সৌম্য-তানজিদের ফিফটি

ছবি: সংগৃহীত

বল বাকি ৭৫। রান চাই ৯৯। হাতে ৬ উইকেট। ৫০ ওভারের ম্যাচে এরকম পরিস্থিতিতে ব্যাটিং দলের পক্ষেই বাজির দর থাকবে উঁচুতে। নিউজিল্যান্ড সফরে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে তেমন অবস্থা তৈরি হলেও বল হাতে শেষদিকে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার মঞ্চে টাইগাররা তুলে নিল কাঙ্ক্ষিত জয়। সেখানে ব্যাটে-বলে ভূমিকা রেখে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখালেন রিশাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে তারুণ্যনির্ভর নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ২৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ দল। আগে ব্যাট করে চার ব্যাটারের ফিফটিতে ১ বল বাকি থাকতে সফরকারীরা অলআউট হয় ৩৩৪ রানে। জবাবে ৪৯.২ ওভার খেলে কিউইরা থামে ৩০৮ রানে। ভ্রমণক্লান্তির কারণে এই ম্যাচে খেলেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।

ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই সেরা পারফর্মার রিশাদ। সাতে নেমে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত তার নৈপুণ্যেই দলের পুঁজি ছাড়ায় তিনশ। এরপর কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও নিচের সারির ব্যাটারদের ঘায়েল করে ৩ উইকেট শিকার করেন এই লেগ স্পিনার। ৭.২ ওভারে তিনি দেন ৫২ রান। 

প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ভরত পপলি (৯০ বলে ৯২ রান) ও সন্দীপ প্যাটেলের (৭৭ বলে ৮৯ রান) গড়া ১৫৬ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দেন আফিফ হোসেন। ১৮ রানে তিনি পান ২ উইকেট। তার দ্বিতীয় শিকারের আগে ৩৮তম ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে লক্ষ্য তাড়ার কক্ষপথেই ছিল স্বাগতিকরা। ২ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদও।

এর আগে ব্যাটিংয়ে রিশাদ যখন ক্রিজে গিয়েছিলেন, তখন ১৮৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এরপর লিটন দাসের সঙ্গে ৭০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি। এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা লিটন বিদায় নেন ৬৩ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৫ রানে। সেসময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৫৪। তারপর তারা যে আরও ৮০ রান যোগ করে, সেখানে রিশাদেরই অবদান ৬৩। ছক্কা মেরে তিনি ফিফটি পেরিয়ে গিয়েছিলেন ৩৪ বলে। এরপর মুখোমুখি হওয়া ২০ বলে আনেন আরও ৩৬ রান।

তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয়ের ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভালো। ২৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ করে সাজঘরে ফেরেন এনামুল। দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তানজিদ ও সৌম্য সরকার। দুজনই আক্রমণাত্মক কায়দায় খেলে পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। তানজিদ করেন ৫৮ রান। তার ৪৬ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৪ ছক্কা। ৮ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ বলে ৫৯ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে।

এই জুটি ভাঙার পর ৩৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তাওহিদ হৃদয় ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আফিফ থামেন ১৩ বলে ১০ রানে। তবে লিটনের দায়িত্বশীল ইনিংস ও শেষদিকে রিশাদের তাণ্ডবে তিনশ ছাড়িয়ে আরও উঁচুতে যায় দলের সংগ্রহ।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago