সিলেট থেকে

মুমিনুলকে মানকাডিংয়ের সুযোগ পেয়েও নেননি এজাজ

ছবি: সংগৃহীত

মুমিনুল হককে মানকাডিংয়ের সুযোগ আসে এজাজ প্যাটেলের সামনে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার তা লুফে না নিয়ে ছাড় দেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারকে।

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেশনের খেলা চলছিল সেসময়। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৩৩ রান। ৩৯তম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিটি করতে গিয়ে হঠাৎ থেমে যান এজাজ। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মুমিনুল ক্রিজ ছেড়ে বেশ খানিকটা সামনে এগিয়ে গিয়েছিলেন ততক্ষণে।

স্টাম্প ভেঙে মুমিনুলকে আউট করে সাজঘরে পাঠানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল কিউইদের জন্য। তবে এজাজ মুখে হাসি নিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে স্রেফ সতর্ক করে দেন। ১২ রানে ব্যাট করতে থাকা মুমিনুলও হাসি দিয়েই জবাব দেন।

মানকাডিং নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার কমতি নেই। ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী উল্লেখ করে অনেকেই এই আউটকে সমর্থন দেন না। কোনো বোলার এমন কিছু করলে তাকে সাধারণত পড়তে হয় তীব্র সমালোচনার মুখে। তবে নিয়মের মধ্যে থাকায় মানকাডিং করতে বাধা কীসের, এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া লোকের সংখ্যাও কম নয়।

মুমিনুল অবশ্য ইনিংস পরে লম্বা করতে পারেননি। ৭৮ বলে ৪ চারে ৩৭ রান করে থামেন তিনি। চা বিরতির দুই ওভার আগে গ্লেন ফিলিপসের বল কাট করতে গিয়ে ডেকে আনেন বিপদ। ক্যাচ লুফে নেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল।

মুমিনুল সাজঘরে ফেরার পর খেই হারিয়েছে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করতে থাকা বাংলাদেশ। একে একে আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা শাহাদাত হোসেন দিপু। অথচ এক পর্যায়ে, ২ উইকেটে ১৮০ রান নিয়ে শক্ত অবস্থানে ছিল স্বাগতিকরা।

এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৭৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬১ রান। অর্থাৎ শেষ ৮১ রান যোগ করতে পড়েছে ৫ উইকেটে। বিশেষজ্ঞ চার কিউই বোলারকে ছাপিয়ে বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন অনিয়মিত অফ স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। তারই শিকার ৩ উইকেট।

গত সেপ্টেম্বরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও আলোচনায় ছিল মানকাডিং। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধি আগেভাগে ক্রিজের বাইরে চলে যাওয়া স্টাম্প ভেঙেছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। তবে তাকে ফিরিয়েও শেষ পর্যন্ত ফেরায়নি বাংলাদেশ।

আম্পায়ার আঙুল তুলে আউটের ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছিলেন। সাজঘরের দিকে হাঁটা দিয়েছিলেন সোধি। শেষ কিউই ব্যাটার ট্রেন্ট বোল্টও মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর সোধিকে ফিরিয়ে এনেছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। স্পোর্টসম্যানশিপের দারুণ নিদর্শন গড়েছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus thanks foreign medical teams for treating Milestone crash victims

A delegation of 21 physicians and nurses from Singapore, China, and India met Yunus at Jamuna

6h ago