হার্দিকের শূন্যস্থান পূরণে গুজরাটের নেতৃত্ব পেলেন গিল

ছবি: বিসিসিআই

হার্দিক পান্ডিয়া দল ছাড়ার পরদিনই নতুন অধিনায়ক বেছে নিল গুজরাট টাইটান্স। ভারত জাতীয় দলে তারই সতীর্থ শুবমান গিলকে নেতৃত্ব দিল তারা। আগের দুই আসরে আইপিএলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়কত্ব করেছিলেন হার্দিক।

সোমবার এক বিবৃতিতে ২৪ বছর বয়সী গিলকে অধিনায়ক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গুজরাট। এবারই প্রথম আইপিএলে কোনো দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

আগামী ২০২৪ সালের আইপিএলে গুজরাটের দলনেতার দায়িত্ব পেয়ে ডানহাতি ওপেনার গিল বলেছেন, 'গুজরাটের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এমন একটি দুর্দান্ত দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে ধন্যবাদ। গত দুটি মৌসুম আমাদের অসাধারণ কেটেছে। রোমাঞ্চকর ঘরানার ক্রিকেটের সঙ্গে এই দলকে নেতৃত্ব দিতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।'

আগের দিন রোববার গুজরাট ছেড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে চলে যান অলরাউন্ডার হার্দিক। তাকে পেতে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে বিক্রি করে দেয় মুম্বাই। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় আইপিএলের নিলামের আগে খেলোয়াড় ছেড়ে দেওয়া ও ধরে রাখার নির্ধারিত সময়সীমার শেষদিনে এই দুটি দলবদল সম্পন্ন হয়।

হার্দিক মুম্বাইতে যোগ দেওয়ায় নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতেই হতো গুজরাটকে। ২০২২ সালে আইপিএলে নাম লেখানো দলটি গিলের ওপরই রাখছে আস্থা। ওই বছরই কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে গুজরাটে নাম লেখান গিল। তার জন্য ৭ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করেছিল গুজরাট। আর হার্দিককে পেতে তাদের লেগেছিল ১৫ কোটি ভারতীয় রুপি।

২০২২ আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ৪৮৩ রান করেছিলেন গিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাট। ২০২৩ সালের সবশেষ আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি রানার্সআপ হলেও গিল ছিলেন আপন মহিমায় উজ্জ্বল। ১৭ ইনিংসে ৮৯০ রান করে তিনি ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আইপিএলের গত ছয় বছর মিলিয়ে তিনি পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের মালিক। তার উপরে আছেন কেবল কেএল রাহুল, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি ও ফ্যাফ ডু প্লেসি।

গুজরাটের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট বিক্রম সোলাঙ্কি বলেছেন, 'গিলের পরিপক্বতা ও দক্ষতা তার মাঠের পারফরম্যান্সে স্পষ্ট। আমরা তার মতো একজন তরুণ নেতার নেতৃত্বে একটি নতুন যাত্রা শুরু করতে অত্যন্ত রোমাঞ্চিত।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

12h ago