ফাইনালে ওঠার দ্বিতীয় সুযোগেও হেরে সাকিব-লিটনদের বিদায়

Shakib Al Hasan
ছবি: সংগৃহীত

আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ লিটন দাস আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করার আগে ফিরলেন। সাকিব আল হাসান বল হাতে ভূমিকা রাখলেও ব্যাট হাতে কার্যকর হতে পারলেন না। তাদের দল গল টাইটান্সও ফাইনালে ওঠার দ্বিতীয় ও শেষ সুযোগটি হারাল। তাদেরকে বিদায় করে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) ফাইনালে উঠল বি-লাভ ক্যান্ডি।

শনিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৪ রানে হেরেছে গল। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ক্যান্ডি। জবাবে পুরো ওভার খেলে গল করতে পারে ৮ উইকেটে ১২৩ রান।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে গত বৃহস্পতিবার গলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল ডাম্বুলা অরা। শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে আগামীকাল রোববার কলম্বোতেই তাদের মুখোমুখি হবে ক্যান্ডি।

মুজিব উর রহমানের করা দ্বিতীয় ওভারে তিনটি চার মেরে উড়ন্ত সূচনা করেন লিটন। এতে ইঙ্গিত মেলে ব্যর্থতার ধারা ভেঙে তার ভালো একটি ইনিংস উপহার দেওয়ার। তবে বাংলাদেশের ওপেনারকে বিস্ফোরক হতে দেননি চতুরঙ্গ ডি সিলভা। অফ স্টাম্পের বাইরে পা সরিয়ে সুইপ করায় চেষ্টায় বোল্ড হন তিনি। ১৯ বলে ৪ চারে তার সংগ্রহ ২৫ রান।

পঞ্চম ওভারে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর খেই হারায় গল। স্কোরবোর্ডে আর ৭ রান যোগ হতে পড়ে যায় আরও ২ উইকেট। এরপর বাংলাদেশের আরেক তারকা সাকিব ও সোনাল দিনুশা মিলে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন। তাদের প্রতিরোধ লড়াই এগোয়নি বেশিদূর। ব্যক্তিগত ১১ রানে সাহান আরচ্চিগের বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া সাকিব আউট হন ক্যাচ তুলেই।

আরচ্চিগে আক্রমণে ফিরলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন সাকিব। ডিপ মিডউইকেটে বল তালুবন্দি করেন মোহাম্মদ হারিস। থামে চারে নামা সাকিবের ১৫ বলে ১৭ রানের ইনিংস। তিনি চার মারেন দুটি।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো গল থামে লক্ষ্য থেকে বেশ দূরে। তাদেরকে আটকাতে সম্মিলিত অবদান রাখেন ক্যান্ডির বোলাররা। দুটি করে উইকেট নেন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়েও বোলিং চালিয়ে যাওয়া অধিনায়ক ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, চতুরঙ্গ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।

এর আগে ক্যান্ডির ব্যাটিংয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ম্যাচসেরা হওয়া হাসারাঙ্গা। ৩০ বলে ৩ চার ও ৪ চারে তিনি করেন আক্রমণাত্মক ৪৮ রান। ২০ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে জুটিতে ৫২ বলে ৭২ রান যোগ করেন তিনি। চান্দিমালের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৩৮ রান।

শেষদিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১৭ বলে ২৪ ও চতুরঙ্গের ৬ বলে অপরাজিত ১৫ রানের ভর দিয়ে দেড়শ ছাড়ায় ক্যান্ডির পুঁজি। গলের হয়ে ২১ রানে ২ উইকেট শিকার করেন লাহিরু কুমারা। সাকিবের ঝুলিতে যায় একটি উইকেট। ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ২৪ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago