গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে লিটনের ম্যাচ জেতানো ফিফটি
আগের তিন ম্যাচে হতাশ করা লিটন দাস খুঁজে পেলেন নিজেকে। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন উইকেটে বাংলাদেশের ডানহাতি ওপেনার রাখলেন সামর্থ্যের ছাপ। ধীরে ধীরে গতি বাড়তি দারুণ ইনিংস খেলে তিনি তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। তার নৈপুণ্যের দিনে সারে জাগুয়ার্স পেল আসরে তৃতীয় জয়ের দেখা।
মঙ্গলবার রাতে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ব্রাম্পটন উলভসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সারে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রানের পুঁজি পায় ব্রাম্পটন। জবাবে লিটনের ম্যাচ জেতানো ফিফটিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলে লক্ষ্যে পৌঁছায় সারে। তখনও ম্যাচের ১১ বল বাকি ছিল।
সিএএ সেন্টার মাঠে তিনে নেমে ৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। তার ব্যাট থেকে আসে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা। রান তাড়ায় পঞ্চম ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়েছিল সারে। এরপর ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে লিটনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৭ বলে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৯৯ রান। সেখানে লিটনের অবদানই ৩৭ বলে ৫৩ রান।
লিটনের শুরুটা ছিল মন্থর। মুখোমুখি হওয়া প্রথম পাঁচ বলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। ষষ্ঠ বলে রানের খাতা খোলেন সিঙ্গেল নিয়ে। প্রথম বাউন্ডারির দেখা লিটন পান পঞ্চম ওভারে। লোগান ফন বিককে মারেন চার। পরের ওভারে ক্রিস গ্রিনের বল সীমানাছাড়া করে পেয়ে যান প্রথম ছক্কা। ইনিংসের ১১ ওভার শেষে লিটনের সংগ্রহ ছিল ২৭ বলে ২৮ রান। এরপর রানের গতিতে দম দেন তিনি।
৪০ বলে ফিফটি স্পর্শ করা লিটন থামেন ১৮তম ওভারে। শাহিদ আহমাদজাইকে কাট করে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ইনিংস। তখন জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরে ছিল সারে। বাকি কাজটা সারেন ইফতিখার। পাকিস্তানের ব্যাটার ৪১ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
এবারের আসরে লিটনের এটি প্রথম হাফসেঞ্চুরি। সারেকে জিতিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও বগলদাবা করেন তিনি। এই ম্যাচের আগে খেলা ইনিংসগুলোতে লিটনের রান ছিল যথাক্রমে ৩০ বলে ২৫, ২০ বলে ২১ ও ১১ বলে ৯।
Comments