দেশে এমন উইকেটে প্রথম খেললেন ইবাদত

Ebadot Hossain
উইকেট নিয়ে ইবাদতের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উইকেটে সতেজ ঘাস থাকল দ্বিতীয় দিনেও, মেঘলা আকাশের নিচে এমন সবুজ গালিচায় বাড়তি বাউন্সে নাকাল হলেন ব্যাটাররা। পাঁচ স্লিপ, গালি, পয়েন্ট মিলিয়ে তৈরি হলো বিভ্রম। এটা মিরপুরের মাঠই তো!

আফগানিস্তানকে ৪০ ওভারের মধ্যে গুটিয়ে দিতে ৪ উইকেট নেওয়া ইবাদত হোসেন বললেন, তার ক্যারিয়ারে ঘরের মাঠে এমন পেস বান্ধব উইকেট আগে কখনো দেখেননি তিনি।

বৃহস্পতিবার মিরপুরে দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়েছে মোট ১৬টি। যার ১২টিই নিয়েছেন পেসাররা।  সকালে ৩৬২ রানে ৫ উইকেট থেকে ৩৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আফগান দুই পেসারের ঝাঁজ দেখেই আঁচ করা যাচ্ছিল জিভ হয়ত লকলক করছে ইবাদতদের।

৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে সফরকারীদের মুড়ে দেন ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন ইবাদত। ২৮ রানে ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।  গতি, বাড়তি বাউন্সে ব্যাটাররা হাঁসফাঁস করেছেন তাদের বলে।

দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে ইবাদত প্রকাশ করলেন তৃপ্তির কথা,  'আমার দেখা এই প্রথম যে এই ধরণের উইকেট আমরা পেয়েছি (দেশে)। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে তিনটা পেস বোলার এরকম উইকেটে খেলা, এটা আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য। কাজেই আমরা চেষ্টা করেছি যে, ওদের যত কম রানে আউট করা যায়। আসলে পরিকল্পনাটা কাজে লাগাতে পেরেছি।'

ঘরের মাঠে কেবল ঘূর্ণি উইকেট বানানো নয়, সবুজ উইকেট বানালেও যে ফল পাওয়া যায় তা দেখা গেছে।  এর পেছনে গত তিন বছরে নিজেদের পারফরম্যান্সের উন্নতির প্রসঙ্গ টানলেন ডানহাতি পেসার, 'শেষ তিন বছর ধরে আমাদের পেস বিভাগ বেশ ভালো উন্নতি করছে। বলছি না যে আমরা এখনই ভালো হয়ে গেছি কিন্তু শেষ তিন বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছি উন্নতির গ্রাফটা উপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার কাছে মনে হয়, আমরা এই জিনিসটা যদি ধারাবাহিকভাবে করতে পারি…করতে পারি কি আমরা ইনশাল্লাহ করবো। কারণ, যে জিনিসটা হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটে এখন পেস বোলিং ডমিনেটিং মাইন্ড যেটা আছে ওটা আমরা আয়ত্ত করার চেষ্টা করছি।'

ইবাদতের পাওয়া চার উইকেট আচমকা বাউন্সে। ব্যাটারদের হকচকিয়ে দিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। এর পেছনেও ছিল নির্দিষ্ট পরিকল্পনা,  'আমি যে উইকেটগুলো পেয়েছি সেগুলো টানা বাউন্স করার ফলে না। আমি ব্যাটারকে সামনে বলে করে সেটআপ করেছি এরপর সারপ্রাইজিং বাউন্সার করছি। জিনিসটা হচ্ছে আগে দেখা যাচ্ছে আমি ইনসুইং, আউটসুইং, এরকম ওভারে দুই/তিনটা বাউন্সার করতাম। ব্যাটারকে সেটআপ করে বোলিং করা আস্তে আস্তে গ্রাব করার চেষ্টা করেছি। দেখা যাচ্ছে ব্যাটারকে সেটআপ করে একটা সারপ্রাইজিং বাউন্সার…(দিয়েছি)। যেহেতু উইকেটে একটু হেল্প ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

4h ago