জাতীয় দলের আঙিনায় এসে মনের জোর বাড়ানোর তাগিদ শাহাদাতের
যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের সবচেয়ে প্রতিভাবানদের একজন ছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তার সতীর্থদের অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেললেও দিপু এগিয়েছেন কিছুটা ধীরলয়ে। তবে যখন ডানা মেলতে শুরু করেছেন তখন তার মাঝে মিলছে আগামী দিনের ভরসার ছবি। সেই সম্ভাবনা দেখে দিপুকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে নিয়েছেন নির্বাচকরা। বড় মঞ্চের পরীক্ষার আগে ২১ পেরুনো তরুণ মনে করছেন মানসিকভাবে তাকে হতে হবে আরও শক্তিশালী।
রোববার ঘোষিত আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের ১৫ জনের বাংলাদেশ দলে প্রথমবারের মতন আসেন শাহাদাত। মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে তার পারফরম্যান্সই খুলে দিয়েছে এই দ্বার। এর আগে ভারত 'এ দলের বিপক্ষেও ভালো খেলেছিলেন ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার। পরিণত ক্রিকেটের ছাপ রেখেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও।
টেকনিক তার বেশ আঁটসাঁট, হাতে আছে নান্দনিক শটের পসরা। কিছু পরিস্থিতিতে দেখিয়েছেন টেম্পারমেন্টে প্রমাণ। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর হাজির হয়েছিলেন গণমাধ্যমের সামনে। টিভি ও পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। অনেকগুলো ক্যামেরার সামনে আসার অভিজ্ঞতাও তার এদিনই সম্ভবত প্রথম। কিছুটা স্নায়ুচাপ, কিছুটা নতুনত্বের দোলা ছিল চেহারায়।
আগের দিন সন্ধ্যায় ম্যানেজারের কাছ থেকে দলে থাকার খবর পেয়ে ভাসছেন সবার অভিনন্দনে। প্রথমদিন জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েও পেয়েছেন সাদর সম্ভাষন। জাতীয় দলের আবহে এসে তার মনে হচ্ছে স্কিলটা ধরে রেখে বাড়াতে হবে মনের জোর, 'স্কিল তো ভালো সবাই বলে। তবে আমি অনুভব করি মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হওয়া দরকার এখানে খেলার জন্য।'
খুব ছোট বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন। পরে বড় ভাইয়ের সহায়তায় এগিয়েছেন, ধীরে ধীরে জায়গা করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটের মঞ্চে। তার কাছে ব্যাপারটা স্বপ্ন পূরণের মতন, 'খুশি তো লাগবেই, স্বাভাবিক। সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। আমারও ওই একই খুশি লাগছে। দিনের পর দিন যেন আমি আরও উন্নতি করতে পারি সেটাই চেষ্টা থাকবে।'
আপাতত ভাবনার জগতকে জটিল না করে স্কিলে শান দিতে চান এই তরুণ। বাড়াতে চান মনোবল, 'নিজের স্কিল আরও উন্নত করার চেষ্টা করব। মানসিকভাবে আরও শক্ত হওয়ার চেষ্টা করব। এটাই আমার কাজ। এসব কাজে যত উন্নতি করব, আমার জন্য খেলাটা আরও সহজ হবে আমি মনে করি।'
Comments