বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

আইপিএলের সময়েও লাল বলের অনুশীলন করেছেন আকসাররা!

Axar Patel
অনুশীলনে আকসার প্যাটেল। ছবি: আইসিসি

আইপিএল শেষ হওয়ার পর দশদিনও হাতে সময় নেই। ভারতকে নামতে হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। টানা দুই মাস সাদা বলে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকার পর একবারে টেস্টের বড় ম্যাচের চ্যালেঞ্জ। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কার কথা কদিন আগে জানিয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারও। তবে আকসার প্যাটেল জানালেন, চিন্তার কোন কারণ নাই। আইপিএলের সময়েই টেস্ট দলের বোলাররা ডিউক লাল বল এনে চালিয়েছেন প্রস্তুতি!

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ভারতের ক্রিকেটাররা এখন ইংল্যান্ডে। নরফুকের অরুনদাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ক্যাম্প করছেন তারা।

ক্যাম্প চলাকালীন আইসিসিকে বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার আকসার জানালেন সাদা বলে খেলার মাঝেই লাল বলের প্রস্তুতি চালিয়ে এসেছেন তারা,  'আমরা আইপিএল শুরুর আগেই এই ফাইনালের সূচি জানতাম। কাজেই আইপিএলের সময়ই আমরা আলোচনা করছিলাম লাল বলের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের কাছে লাল বল ছিল, সেগুলো আমরা কাজে লাগিয়েছি। আমরা জানি কখন খেলতে হবে। সাদা বল থেকে লাল বলে আসার মানসিক বদলটা কঠিন কিন্তু আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে।'

'যারা আইপিএলে প্লে অফ খেলেনি তাদের হাতে আরও বেশি সময় ছিল। আমার মনে হয় না কোন সমস্যা আছে, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েই নামছি আমরা।'

শুধু বলের রঙ না, বলের ধরনও ইংল্যান্ডে ভিন্ন। ভারতীয়রা ঘরের মাঠে সাধারণত টেস্ট ম্যাচ খেলেন এসজি বলে। ফাইনাল খেলতে হবে ডিউক বলে। তবে ডিউক বল অর্ডার করেই আইপিএলের সময় অনুশীলনের খবর দিলেন আকসার,  'তফাৎ হলো ডিউক বলে শাইনটা বেশি সময় থাকে। কিন্তু আইপিএলের সময় আমরা বল অর্ডার করেছিলাম। কাজেই আমরা এটা নিয়ে অনুশীলন করেছি।'

'সাদা বল আর লাল বলের সুইচটা এসজি বল আর ডিউক বলে সুইচের মতই। আপনাকে মেধা ও দক্ষতা প্রয়োগ করতে হবে। পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে। ছন্দে বল করতে হবে। যদি আপনি ভালো জায়গায় বল রাখতে পারেন তাহলে কাজে দেবে।'

খেলার ধরণ বদলের মতন আবহাওয়া আর কন্ডিশনের ভিন্নতার চ্যালেঞ্জও আছে। তবে তা নিয়ে স্বস্তিই বেশি ভারতীয়দের,  'আমরা আইপিএল খেলে এখানে এলাম। ভারতে যেখানে ৪০-৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল এখানে অনেক ঠাণ্ডা। ভারি জামা কাপড় পরতে হচ্ছে, বাতাসও আছে। যখনই ইংল্যান্ডে আসে আবহাওয়া উপভোগ করি। বেশ ঠাণ্ডা থাকে, কোন গরম নেই।'

'ভারতের থেকে কন্ডিশন ভিন্ন অবশ্যই। ভারতে স্পিনারদের যে ভূমিকা থাকে, এখানে পেসারদের সেই ভূমিকা থাকবে। কন্ডিশন দুই দলের জন্যই সমান। বাউন্স ভালো থাকবে, মুভমেন্ট থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

6h ago