দ্বিতীয় ম্যাচে আরও খরুচে, আরও বিবর্ণ মোস্তাফিজ
আগের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ফেইজে খরুচে বল করে দলের হারের কারণ হয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবু তাকে পরের ম্যাচেও একাদশে রেখেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না বাংলাদেশের পেসার। বিবর্ণ বোলিংয়ে চরম হতাশ করে রান বিলিয়েছেন তিনি।
শনিবার বেঙ্গালুরুতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মোস্তাফিজ তিন ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে দিয়ে দিয়েছেন ৪১ রান। ওভারপ্রতি ১৩.৭০ করে রান দিয়ে এই বাঁহাতি নিতে পারেননি কোন উইকেট।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজ। ফাফ দু প্লেসির হাতে দুটো চার খেয়ে ওই ওভারে দেন ১০ রান। দশম ওভারে আবার ফেরানো হয় তাকে। এবার বিরাট কোহলি আর মহিপাল লামরোরের তোপে পড়েন তিনি। কোহলে তার প্রথম বলে লং অফ দিয়ে মারেন বাউন্ডারি। পরের দুই বলে আসে আরও দুই রান। তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে মোস্তাফিজকে ছক্কায় উড়ান কোহলি।
স্ট্রাইক পেয়ে এবারের শেষ বলে পয়েন্টের উপর দিয়ে আরেক ছক্কা মারেন লামরোর। মোস্তাফিজ তার দ্বিতীয় ওভারে দিয়ে দেন ১৯ রান। মোস্তাফিজের কোটা পূরণ করার আর সাহস করেননি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ১৯তম ওভারে তাকে তৃতীয় ওভার করতে দেন ওয়ার্নার। স্লগেও পুষিয়ে দিতে পারেননি বাংলাদেশের তারকা।
শাহবাজ আহমেদ মোস্তাফিজের প্রথম বলটি বাউন্ডারি পার করেন এক্সট্রা কাভার দিয়ে। পরের দুই বলে আসে আরও দুই সিঙ্গেল। চতুর্থ বলেও শাহবাজ মারেন চার। শেষ দুই বল থেকে আসে আরও দুই রান। ওভারে দেন ১২ রান।
কোহলির ৩৪ বলে ৫০ ও কয়েকটি মাঝারি ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দিয়েছে বেঙ্গালুরু। দিল্লির হয়ে কুলদীপ যাদব, আকসার প্যাটেলরা দারুণ বল করেন। মিচেল মার্শ তার মিডিয়াম পেসে ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। ৪ ওভারে কোন উইকেট না পেলেও শেষ দিকে রান আটকে রাখার কাজ করতে পেরেছেন আনরিক নরকিয়া। ৪ ওভারে তিনি দেন ৩১ রান। ছয় বোলারের মধ্যে সবচেয়ে বিবর্ণ পারফরম্যান্স ছিল মোস্তাফিজের।
Comments