বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিব টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, এশিয়া কাপের দলে সাব্বির
এশিয়া কাপ, ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে এশিয়া কাপের দল। তাতে চমক হিসেবে ফিরেছেন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। তবে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকারের। বাজে পারফরম্যান্সের পরও টিকে গেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শনিবার বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় এক জরুরি সভায় বসে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাতে যোগ দেন সাকিব। সভা শেষে বেরিয়ে টেস্ট অধিনায়ক সাকিবকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কও ঘোষণা করা হয়। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানান সাকিবের দায়িত্ব নভেম্বর পর্যন্ত, 'সাকিব আল হাসান এশিয়া কাপ, ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। বোর্ডে আমাদের একটি মিটিং ছিল। সেখানেও আমরা আলোচনা করেছি। এরপর প্রেসিডেন্টের বাসায় এসে আলোচনায় বসেছি। এখানে নির্বাচকরা ছিলেন। এই কয়েকটি আসরের জন্য আমরা সাকিবকে অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।'
সম্প্রতি একটি বেটিং সাইটের সঙ্গে শুভেচ্ছাদূতের বেআইনি চুক্তি করে আলোচনায় আসেন সাকিব। বিসিবির কঠোর অবস্থানের পর তিনি সরে আসেন এই চুক্তি থেকে। চুক্তি থেকে সরে এলেও নিয়মভঙ্গের কোন সাজা পেলেন না সাকিব, উল্টো পেলেন অধিনায়কত্ব। এই ব্যাপারে জালাল জানান, সাকিবের ভুল বুঝতে পারাতে তারা খুশি, 'এটা নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা হয়েছে। সাকিব তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। তার আসলে এটার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ঠিক হয়নি। নিশ্চিতভাবে সাকিব আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার। বোর্ডের আগের মিটিংয়ে সাকিবকে অধিনায়ক করার চিন্তা ভাবনা ছিল। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা সেই পরিকল্পনায় স্থির থাকবো।'
২০১৯ সালে জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে সব ধরণের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টির অধিনায়কও ছিলেন সাকিব। এবার তিনি পেলেন আরেক দফার নেতৃত্ব। তার ২১টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৭টিতে জয় ও ১৪ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।
এদিকে ১৭ জনের এশিয়া কাপের দলে বড় চমক সাব্বির। তিন বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটার ফিরেছেন অভিজ্ঞতার জন্য। অভিজ্ঞতার যুক্তিতে দলে রাখা হয়েছে মাহমুদউল্লাহকেও। আঙুলের চিড়ে ছিটকে যাওয়া নুরুল হাসান সোহানকেও দলে রাখা হয়েছে। তার খেলা নির্ভর করছে ফিটনেসের উপর।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে খেলা দল থেকে বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুনিম শাহরিয়ার। জায়গা পাননি বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও। তাদের বদলে টি-টোয়েন্টি দলেও এসেছেন ইবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। পাঁচ পেসারের সঙ্গে স্কোয়াডে আছেন চার স্পিনার।
২৭ অগাস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩০ অগাস্ট, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পরের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। 'বি' গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে যাবে দুই দল। যেকোন এক দলকে টপকে সেখানে জায়গা করতে হবে বাংলাদেশকে।
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন , নুরুল হাসান সোহান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ।
Comments