বিতর্কিত পোস্টের পর ইমরুল জানালেন ‘পেইজ হ্যাকড হয়েছিল’
জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশের সিরিজ হার নিশ্চিতের পর পরই ইমরুল কায়েসের স্বীকৃত পেইজ থেকে করা হয় এক বিতর্কিত পোস্ট। 'ফিলিং স্যাড যুক্ত' করলেও বেশ কিছু অট্টহাসির প্রতীকী অভিব্যক্তি লিখে পোস্ট করা হয়। খানিকপর সেই পোস্ট মুছে দাবি করা হয় এই পেজটি হ্যাক করা হয়েছিল।
রোববার হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের কাছে ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতেও একই ব্যবধানে হেরেছিল তামিম ইকবালের দল।
টানা দুই হারে র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজও হারে বাংলাদেশ। এই হারের পর পরই নিজের স্বীকৃত ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন ইমরুল। সেখানে ফিলিং স্যাড যুক্ত করা হলেও বেশ কয়েকটি অট্টহাসির প্রতীকী অভিব্যক্তি (ইমোটিকন) ছিল। পোস্টটি মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেক মন্তব্যে ভরে যায়। মিনিট কয়েকের মধ্যে এটি সরিয়ে আরেকটি পোস্ট করা হয়। যেখানে এডমিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তার পেজটি চলে গিয়েছিল হ্যাকারদের কবলে, 'কিছুক্ষণ আগে পেজটি হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইমরুল কায়েস ভাইয়ের ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার ফলে পেজটির নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের কাছে চলে যায়।
আলহামদুলিল্লাহ, বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর আমরা পেজটি আবারও ফিরে পেয়েছি। হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় পেজ থেকে প্রকাশিত স্ট্যাটাসের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। -এডমিন'
তবে এই পোস্টে আবার ক্রিকেট ভক্তরা করছেন মজার মন্তব্য। অনেকের মতে এত দ্রুত হ্যাকারদের কবল থেকে পেইজ উদ্ধারের ঘটনা সারাদুনিয়াতেই বিরল।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটের চলছে খারাপ সময়। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে টানা হারের মাঝে আছে দল। ওয়ানডেতে ছিল জয়ের ধারায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেখানেও হোঁচট খেতে হয়েছে।
র্যাঙ্কিংয়ে ১৫তম অবস্থানে থাকা জিম্বাবুয়ে সেরা পাঁচ ক্রিকেটারকে ছাড়া খেলতে নেমে ভড়কে দেয় বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ৩০৩ রান তাড়া করে তারা জিতে যায় ৫ উইকেটে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯১ রান তাড়া করেও জেতে ৫ উইকেটে। দুই ম্যাচেই অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন সিকান্দার রাজা। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি আসে ইনোসেন্ট কাইয়ার ব্যাটে, পরের ম্যাচে ঝড়ো সেঞ্চুরিতে নায়ক বনেন রেজিস চাকাভা।
২০১৯ সাল থেকে জাতীয় দলের বাইরে আছেন ইমরুল। বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন টেস্ট। দীর্ঘ পরিসরে তার পারফরম্যান্স ছিল একদমই বিবর্ণ। ওয়ানডে সব শেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১৭ সালে।
ক্যারিয়ারে ৭৮ ওয়ানডে খেলে ৩২.০২ গড়ে ২ হাজার ৪৩৪ রান তার। ওপেনার হয়েও এই রান তিনি এনেছেন কেবল ৭১.১০ স্ট্রাইকরেটে। ১৪ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ইমরুল স্রেফ ৯.১৫ গড় আর ৮৮.৮০ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১১৯ রান। ৩৯ টেস্টের ক্যারিয়ারেও তার গড়টা কেবল ২৪.২৮।
৩৫ পেরুনো ইমরুল সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করেননি। আবার জাতীয় দলে তার ফেরা বেশ কঠিন। তবে এবার তিনি আলোচনায় এলেন ভিন্ন এক কারণে।
Comments